বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
শাকিল ইসলাম- ক্রাইম প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কর্মসৃজনের মহিলা শ্রমিকদের দ্বারা গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিটা কর্মসূচীর আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবারের জন্য ৩য় পর্যায়ে দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মানাধীন ঘরে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে পুটিমারী ইউপি চেযারম্যান আবু সায়েম লিটন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বিরুদ্ধে।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন- ওই চেয়ারম্যান শুক্রবার তাদের কাজ করতে বাধ্য করে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নে ভেড়ভেড়ী ধাপের ডাঙ্গায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবারের জন্য ৩য় পর্যায়ে দূর্যোগ সহনীয় ৭৭টি বাসগৃহ নির্মাণের কাজ ১৫ই মার্চ ২২ইং ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়। ওইসব নির্মানাধীন ঘরে সরকারি ভাবে মাটি ভরাটের বরাদ্দ থাকলেও কর্মর্সৃজন প্রকল্পের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ২১০ জন মহিলা শ্রমিক দ্বারা ছুটির দিনেও সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে পিআইও ও চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুকৌসলে কর্মসৃজন ৪০ দিনের শ্রমিকদের দ্বারা ঘরের মাটি ভরাট করে নেয়া হচ্ছে।
কর্মরত শ্রমিক মনুফা, পেযারী, হাওয়া বেগমসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে জানান- বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আমাদের সরকারীভাবে মাটিকাটা ছুটি থাকে। তারপরও চেয়ারম্যান আমাদের রোজাদার মহিলাদের উপর জুলুম করে মাটি কাটতে বাধ্য করছে। না হলে নাম কাটি
দিবে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন এর নিকট শুক্রবার বন্ধের দিনেও অন্য প্রকল্পের শ্রমিকদের দ্বারা মাটি ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন-এতোদিন এলোমেলো করে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। তাই এখানে শ্রমিক দিয়ে কাজ করে পুশিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিকালে দেখা করব বলে
জানান।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার কাছে দূর্যোগ সহনীয় ঘরে মাটি ভরাটের বরাদ্দ আছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি বলেন- মাটি ভরাটের বরাদ্দ না থাকায় ৪০ দিনের কমসূচীর শ্রমিকদের দ্বারা মাটি ভরাট করে নেয়া হচ্ছে। তবে চেয়ারম্যানকে শনিবার শ্রমিক লাগানোর কথা বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন- ছুটির দিনে আমি শ্রমিক লাগানোর বিষয়টি জানিনা। তবে ওইসব বাসগৃহে সরকারিভাবে মাটি ভরাটের বরাদ্দ ধরা আছে। এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে দেখবো।