সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৯ অপরাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নে শ্বশুড়বাড়ীতে জামাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার ১০ই জুন ভোর চারটার দিকে পুটিমারী ইউনিয়নের পুটিমারী মাঝাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝাপাড়া গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেটের শ্রমিক বিপুল ইসলাম সাদ্দামের সঙ্গে গত দুই বছর আগে একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারীপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের কন্যা লুবাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে লুবাইয়া স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিল। গত ৬ই জুন সোমবার লুবাইয়া তার স্বামীকে না জানিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। খবর পেয়ে স্বামী সাদ্দাম ৭ই জুন উত্তরা ইপিজেটে ডিউটি শেষ করে সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর শাশুরীসহ অন্যরা মিলে জামাইকে মারধর করলে জামাই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সাদ্দামের ভগ্নিপতি মাজেদুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, বড় আব্বা শহিদুল ইসলাম জানান, সাদ্দাম বিয়ের পরে তার শ্বশুরকে ৫ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিল সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে শ্বশুর-জামাই এবং শাশুড়ির সঙ্গে মনোমালিন্য চলে আসছিল। ঘটনার দিন ৭ জুন সাদ্দাম ফোনে আমাদের জানায় আমি শ্বশুর বাড়িতে এসেছি তারা আমাকে অনেক মারধর করেছে আমাকে বাঁচান। পরে আমরা গিয়ে সাদ্দামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তারা সাদ্দামের কাছ থেকে সাদা ষ্ট্যাম্প স্বাক্ষর নিয়ে তারপর তাকে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে আমরা প্রথমে তাকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাদ্দামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত চারটার দিকে সাদ্দাম মারা যায়। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য সাদ্দামের শ্বশুর বাড়িতে গেলে বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজিব কুমার রায় বলেন- লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।