শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
খলিলুর রহমান খলিল- নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দুর্গাপূজাকে ঘিরে তারাগঞ্জে পাঁচটি ইউনিয়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। কে কত ভালো প্রতিমা তৈরি করে ভক্তদের হৃদয় ছুঁতে পারেন তারই প্রতিযোগিতা চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে। সামর্থ্য অনুযায়ী স্থানীয় ও অন্য জেলা থেকে কারিগর এনে প্রতিমা তৈরি করছে পূজা মণ্ডপ কমিটি। তারাগঞ্জ সদরের কুর্শা ইউনিয়নের থানা পড়া কিন্দ্রিও দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছেন কারিগর সৌরভ সিং। প্রতিমা তৈরির কাজে তিনি শ্যামগঞ্জ থেকে এসেছেন।
সৌরভ বলেন- ‘এ বছর ৪টা পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ নিয়েছি। বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছি। এ বছর প্রতিটি প্রতিমা তৈরির খরচ ৬০ হাজার টাকা নিলেও আমাদের পোষাবে না। কারণ প্রয়োজনীয় উপকরণের মধ্যে রঙ, কাপড়, পুঁথির মালা, পরচুলা, চুমকি, শোলা ও কারিগরের মজুরিসহ সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। শুধু পেশাটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন- ‘বিগত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে ঢিলাঢালাভাবে দায় সেরেছিল পূজা মণ্ডপ কমিটি গুলো। এ বছর আশায় বুক বেধেছিলাম, কিন্তু বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম বেড়েছে। তাই খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবারও লোকসান গুনতে হবে। স্থানীয় পূজা কমিটিও এ বাজেট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
২নং কুর্শা ইউনিয়নের পুরাতন চৌপতি মন্দির পাড়া পূজা মণ্ডপের কারিগর তপন জানান- প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। দেবী দুর্গার সঙ্গে রয়েছেন কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও স্বরসতী। এছাড়া এখন পর্যন্ত বাঘ ও অশুরের মুখমণ্ডলসহ দেহের কাঠামো গঠন করা হয়েছে। প্রতিমাগুলো রোদে শুকানোর কাজ চলছে। আর দুচার দিনের মধ্যে রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে প্রতিটি প্রতিমা।
তিনি বলেন- ‘মৃৎশিল্পীদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এই কাজ করে আর পোষায় না।
কিন্দ্রিও মন্দিরের সভাপতি রতন কুমার রায় বলেন- ‘বর্তমানে বাজারমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে দুর্গা পূজা অর্চনা, প্রসাদ কেনার খরচ—সবমিলিয়ে কমিটির সদস্যরা হিমশিম খাচ্ছে। এদিকে কারিগরের মজুরিসহ অন্যান্য উপকরণ কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তারাগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পাপন দত্ত জানান, আগামী ১লা অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এ বছর মা দুর্গা গজে (হাতি) আগমন করবেন। এর অর্থ শস্যপূর্ণ বসুন্ধরা। আর বিজয়া দশমীতে গমন করবেন নৌকায়। এর অর্থ শস্যবৃদ্ধি আশানুরূপ হলেও বন্যা ও জলোচ্ছাসে কিছু শস্য নষ্ট হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ তারাগঞ্জ উপজেলা শাখার সভপতি কুমারেস রায় বলেন- উপজেলায় ৬৪টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে।ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিটি কমিটিকে ডিজে পার্টির নামে অশ্লীলতা বন্ধের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসন সর্বদা দায়িত্ব পালন করবে। আমরা সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার জানান- অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থানা পুলিশের পাশাপাশি পূজা মণ্ডপে থাকবে আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্য।
অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)।
বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে ই-মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com