বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ীতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের বেংমারী ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ২টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই এলাকার ময়নুল ইসলামের প্রতিপক্ষরা বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে, ততক্ষণে পুরো বাড়িটি পুড়ে যায়। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চারটি কাচাঘর, ৩টি খাট, ৫টি চেয়ার, ২ টেবিল, ২টি শোকেস, ১টি বাইসাইকেল ও শোকেসের ড্রয়ারে থাকা এক লাখ টাকা সহ ২০ লাখ ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী ময়নুল ইসলাম। এই ঘটনায় ১৮জনকে আসামী করে থানায় থানায় এজাহার দায়ের করেন ময়নুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ রহিমা বেগম(২৫)।
অভিযুক্তরা হলেন, ওই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৫৫), মৃত জছির উদ্দিনের ছেলে এনদাদুল হক(৫২), হবিবর রহমানের ছেলে বিপুল ইসলাম(৪০), মোস্তাকিমের ছেলে সিয়াম ইসলাম(২৩), নুরুল ইসলামের ছেলে বরকত উল্লাহ(৩৫), শাহার মামুদের ছেলে আব্দুল মান্নান(৫৮), মৃতঃ দোমাত তেলির ছেলে আবেদীন ইসলাম(৫৭), বুদারু মামুদের ছেলে হানিফ ইসলাম(৪০), গুলজার রহমান(৪০), আফিজ উদ্দিনের ছেলে লিয়াকত আলী(৪৫), জাহান আলীর(৫৫) ও তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন(৪১), আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী রানী বেগম(৫০), এনদাদুল হকের স্ত্রী আকিলি বেগম(৪৬), বরকত উল্লাহর স্ত্রী সালমা বেগম(৩০), সিয়ামের স্ত্রী শাহজাদী বেগম(১৯), আবু তালেবের স্ত্রী জান্নাতি(৩০) ও জিয়ারুল ইসলামের স্ত্রী ফেন্সি বেগম(৩৫)।
ভুক্তভোগী রহিমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, আমাদের বসতবাড়ীর সামনে একটি নাড়িকেল গাছ ও একটি সুপারির গাছ খাস জমিতে থাকায় আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে গাছ দুইটি কাটার পায়তারা করতেছিল। আমরা তাদের কে গাছ না কাটার জন্য নিষেধ করলে তারা আমাকে প্রাণ নাশসহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টায় আমাদের অজান্তে আব্দুর রাজ্জাকের হুকুমে অন্যান্য আসামীরা গাছ দুইটি কেটে ফেলে। আমি দেখতে পেয়ে বাধা দিলে আসামীরা আমাকে এলোপাতারী মারতে থাকে। ঐ দিনে দুপুর অনুমানিব দ্ইুটায় আসামীরা একজোট হইয়া আমাদের কাচা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে এতে আমাদের ঘরে থাকা ৩টি খাট, ৫টি চেয়ার, ২ টেবিল, ২টি শোকেস, ১টি বাইসাইকেল ও শোকেসের ড্রয়ারে থাকা এক লাখ টাকা সহ প্রায় ২০ লাখ টাকার সাধন করে। এসময় স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন করলে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের বাড়ীঘরে টিনে আঘাত করে ভেঙ্গে দিতে থাকে এটা আমরা দেখেছি। কিন্তু আগুন কে লাগিয়ে দিলো এটা আমরা দেখি নি। পরে আমরা দমকল বাহিনীর চেষ্টায় আগুন নেভাই। তবে আমাদের কথা মানুষের সাথে মানুষের শত্রুতামী থাকতেই পারে। তাই বলে ঘরে আগুন দিবে? তাদের ঘরের সাথে আমাদের অনেকের ঘর ছিল, বৈদুতিক খুটি ছিল। প্রাণহানীর শঙ্কাও ছিল।
এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আসামী আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান ও তার জামাই অভিযুক্ত সিয়ামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কোনো কথা খবরে লিখিয়েন না। আমি কোনো কথা বলবো না।
নীলফামারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ এনামুল হক বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীর চারটি কাচাঘর ও আসবাব পত্র পুড়ে যায়। এতে তার আনুমানিক দুই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম বলেন, এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)।
বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে ই-মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com