সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৬:১২ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগাছা এলাকায় ফেসবুক লাইভে এসে ইমরোজ হোসেন রনি(৩০) নামের এক যুবকের ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় দায়ের হওয়া প্ররোচনার মামলায় স্ত্রী-শ্বশুরসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার ১৮ই মার্চ ২০২২ইং দিবাগত-রাতে সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর একতা হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- যুবকের স্ত্রী শামীমা ইয়াসমিন ওরফে সাথী(২৩) এবং সাথীর বাবা মোঃ শাহজাহান ইসলাম ওরফে বাদল(৫০), বোন বিথী আক্তার(৩০) ও বোনজামাই মোঃ ইমদাদুল হক(৩৫)। র্যাব ৪ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে র্যাবের অধিনায়ক বলেন- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা উক্ত আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার সঙ্গে জড়িত বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ- গত চার বছর পূর্বে একই উপজেলার পশ্চিম হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মৃত ইমরোজ হোসেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানও জন্ম নিয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এর সূত্র ধরেই দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা ও ভরণপোষণ দাবি করে আসছিলেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা।
এই ঘটনার এক পর্যায়ে স্বামী ইমরোজকে না জানিয়েই চাচার বাড়িতে চলে যান সাথী। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে অপমান-অপদস্ত করে তাড়িয়ে দেয়। তারপরে ইমরোজ বাড়িতে ফিরে আশে।
এরপরে গত ১২ই ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৮ ঘটিকার সময় রংপুরের পীরগাছা থানা এলাকায় ফেসবুক লাইভে গিয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন ইমরোজ হোসেন রনি(৩০)। ওই লাইভে তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা ভাই’সহ শ্বশুরবাড়ির আরও কিছু সদস্যকে দায়ী করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।