সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর বদরগঞ্জের শ্যামপুরে ৮ম শ্রণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী স-মিল ব্যবসায়ী আজাদুল ইসলাম আজাদকে মামলা দায়েরের ৩ মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের খুঁজে না পাওয়ার রহস্যজনক ভুমিকা নিয়ে তাই এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী আসামীকে গ্রেফতারে রংপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপারসহ আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার হস্তক্ষেপ ও সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রুহুল আমিন(বিপিনং-৭৮৯৭০৬৮৫৩)এর বিরুদ্ধে আসামীর বাবা আঃ রশিদ ও বোনজামাই কাশিম মিয়ার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ভিডিও ও অডিও রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। যা শিঘ্রই প্রকাশ করা হবে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর নয়াপাড়ার আঃ রশিদ মিয়ার ছেলে শ্যামপুর হলকারমোড়ে স-মি ব্যবসায়ি আজাদুল ওরফে আজাদ মিয়া(৩৭) ঘটনার দিন গত ৭ই ফ্রেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় একই গ্রামের রেজাউল হকের মেয়ে, শ্যামপুর সুগার মিলস হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বিউটি আক্তার(১৪)(ছদ্ম নাম) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে বাথরুম শেষে বসত ঘরের বারান্দায় উঠার সময় পূর্ব পরিকল্পনামতে পেছন দিক থেকে বিউটির(ছদ্ম নাম) মুখ চেপে ধরে পাজাকোলা করে বাড়ির উত্তরদিকে জনৈক এনামুল এর বসত বাড়ির পিছনে বাঁশ-ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্কক ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় কোনরকম লম্পট আজাদের হাত মুখ থেকে সরিয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে আসলে আজাদ কৌশলে সটকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিম শ্যামপুর সুগার মিলস হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বিউটি আক্তার(১৪)(ছদ্ম নাম) এর মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে গত ১৯শে ফ্রেব্রুয়ারী ২২ইং তারিখে বদরগঞ্জ থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ৩০০৩; ৯(৪)(খ) ধারা অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫।
অভিযোগ উঠেছে- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রুহুল আমিন(বিপিনং-৭৮৯৭০৬৮৫৩) আসামীর বাবা আঃ রশিদ ও বোনজামাই কাশিম মিয়ার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে আসামীকে গ্রেফতার না করে বরং আসামীকে বাচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যার সত্যতা পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে ঘুষ নেয়ার ভিডিও ও অডিও রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। যা শিঘ্রই প্রকাশ করা হবে।
তবে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তিনি আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান- আমি কোন ঘুষ গ্রহন করিনি। আসামীকে গ্রেফতারে সর্বচ্চ চেষ্টা চলছে। ইতি মধ্যে সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে।