বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণা-বেক্ষনের নিয়ন্ত্রক,পরিবেশ অধিদপ্তরে একাধিক অভিযোগ দিয়েও বন্ধ হচ্ছেনা পাগলাপীরে নিয়ন্ত্রণহীন তামাকের বালাইনাশক কারখানা।
যদিও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গুডাউন ঘরে গম, ভুট্টা, সরিষা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ট্রেড লাইন্সেস নেয়া হলেও সেই গুডাউন ঘরে গোপনে মাড়াই মেশিন বসিয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিড়ি, সিগারেট ও জর্দ্দাসহ বালাই নাশক দ্রব্য তৈরি করে আসছে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। ফলে পরিবেশ দূষণে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
ওই জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ কারখানাটি বন্ধের জন্য স্থানীয়রা গনস্বাক্ষরিত একাধিক অভিযোগ রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরে দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি দীর্ঘদিনেও।
অস্বস্তিকর পরিবেশে জিম্মি থাকা বাসিন্দাগণ ওই কারখানাটি বন্ধের জন্য নতুন করে গত ৩ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়।
রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর বাজার সংলগ্ন জলঢাকা রোডে অবস্থিত মেসার্স আব্দুল্লাহ টোবাকো কোম্পানির সত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ যত্রতত্রভাবে একাধিক তামাক গোডাউনের ভিতরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাড়াই মেশিন বসিয়ে তামাকের বর্জ্য দিয়ে বালাইনাশক দ্রব্যসহ জর্দা, গুল তৈরি করে আসছে।
মাড়াই মেশিনের বিকট শব্দ আর তামাকের মিহিদানার ভারী বাতাস পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের বালাইনাশক কারখানা অপসারণের দাবি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা এরশাদ হোসাইন, আসরাফুল আলম, উত্তম কুমার, আঃ রঊফ, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তামাক থেকে পাতি জর্দ্দা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছেন।
এদিকে মাত্র ২০০ টাকায় কোটি কোটি টাকা আয়ের অবৈধ কারখানার ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি হরিদেবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন- লাইসেন্স নেয়ার সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে, পরে তারা অন্য কারবার যদি করে তা অবশ্যই আইনের পরিপন্থী, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী।
মরণব্যাধি ক্যান্সার সহ নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা সেখানকার জনসাধারণ পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণা-বেক্ষনের নিয়ন্ত্রক পরিবেশ অধিদপ্তরে একাধিক অভিযোগের ব্যাপারে রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় প্রতিবেদক জানান- ইতিপূর্বে গত ১৩/০৬/২১ইং সালে একটি অভিযোগ দেয় সেখানকার বাসিন্দারা, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তৎকালীন উপ-পরিচালক (ডিজি) মেজ-বাবুল ইসলাম তাদেরকে নোটিশ করে ওই কারখানাটি বন্ধের জন্য বলা হয়েছিল।
তারপরেও তারা বন্ধ করেনি- নতুন করে একটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছে, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্প্রতি সময়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক বরাবরে ওই পরিবেশ বান্ধবহীন তামাকের বালাইনাশক কারখানার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ অভিযোগ প্রসঙ্গে এডিসি জেনারেল মোঃ গোলাম রব্বানী দাবানলকে জানান এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।