রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল'সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা, দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ পুলিশের আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেছেন, পুলিশ আগামী দিনেও নির্বাচনী দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে সক্ষম হবে।

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি দেখার জন্য মাঠ পরিদর্শন শেষে আজ বুধবার ১১ই জানুয়ারী ২০২৩ইং বেলা সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পুলিশ প্রধান।

এসময় আইজিপির সঙ্গে এসবির প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম'সহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বিশ্ব ইজতেমা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন- আমরা তাবলিগের উভয়পক্ষের সঙ্গে বসেছি, কথা বলেছি। তাদের মধ্যে যে মতবিরোধ সেটা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছি। তারা আমাদের কথা দিয়েছেন, ইজতেমায় একপক্ষ অপরপক্ষকে সহযোগিতা করবে।

পুলিশ প্রধান বলেন- আমি বিশ্বাস করি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে তাবলিগের উভয়পক্ষ আমাদের সহযোগিতা করবে। তারা আমাদের কথা দিয়েছেন, আমি তাদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।

আইজিপি আরও জানান- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ইং সালে ১৬০ একর জায়গা খোলা মাঠ ইজতেমার জন্য দিয়েছেন। দেশ-বিদেশের আগত মুসল্লিরা যেন নিরাপদে ইজতেমায় অংশ নিতে পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, তাবলিগের দুই পক্ষ পরপর ইজতেমা করবে। প্রথম পর্বে জুবায়েরপন্থীরা ১৩ই জানুয়ারি শুরু করে ১৫ই জানুয়ারী আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ করবেন।

চারদিন বিরতি দিয়ে ২০শে জানুয়ারী শুরু হবে মাওলানা দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী সাদপন্থীদের ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। ২২শে জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি ঘটবে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।