শাকিল ইসলাম- ক্রাইম প্রতিনিধিঃ
১০ টাকায় ১৫‘শ টাকা বা ২০ টাকায় ৮৮৮ গুণ বা ১৭ হাজার ৭ শত ৬০ টাকা। এমন প্রলোভন দেখিয়ে যুব সমাজসহ ছাত্র, ভ্যান চালক, অটো চালক সহ ব্যবসায়ীদেরকে জুয়ায় আসক্ত করছে বেটিং কোম্পানির এজেন্ট গুলো।
আর এই জুয়ায় মেতে নিঃস্ব হচ্ছেন যুবসমাজ, ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী সহ নানা পেশার মানুষ। অনুসন্ধান করে যানা যায়, ওয়ান এক্স বেট, বাজি লাইভ, মোস্টবেট, ক্রিকএক্স, কেসিনো এম.সি.ইউ এই ওয়েব সাইট গুলো জুয়া পরিচালনা করে থাকে। খেলার নিয়ম হচ্ছে প্রথমে তাদের ওয়েব সাইটে নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল আইডি একটি একাউন্ট সাইন আপ করতে হবে। তারপর, বিকাশ, নগদ, রকেট, শিওরক্যাশ, উপায় সহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যম ডিপোজিট করে সেই একাউন্ট থেকে খেলা যাবে জুয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদ্রাসা শিক্ষক জানান- আমি একজনের রেফার কোডের মাধ্যমে বাজি লাইভে একটা একাউন্ট খুলি এবং ২ হাজার টাকা ডিপোজিট করি। ডিপোজিট করার পর আমি অনলাইনে বাজি ধরি এভাবে ১ ঘণ্টা খেলার পরে ১ম দিন আমি ১৯ হাজার টাকা লাভ করি এবং সেই টাকা আমার বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে উইথড্র করি। আর লাভের এই ১৯ হাজার টাকা উইথড্র করাটাই আমার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। পরের দিন আমি আবারও ২ হাজার টাকা ডিপোজিট করি কিন্তু ১০ মিনিটের মাথায় আমি টাকাটা হেরে যাই। পরে আবারও ৫ হাজার টাকা ডিপোজিট করি কিন্তু ৩০ মিনিটের মাথায় সে টাকাটাও হেরে যাই। আর এই ভাবে এটা আমার নেশায় পরিনত হয় আর আমার জীবনের পতন শুরু হয়। আমি এখন ১৫ লক্ষ টাকা ঋণী।
কিশোরগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছন্দ নাম বকুল এই প্রতিবেদককে জানায়- আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে আমি মোস্টবেটে ১টি একাউন্ট খুলি এবং জুয়া খেলি। জুয়া খেলার পর থেকে আমি অনেক টাকা ঋণে পড়ি। এটি আমার নেশায় পরিনত হয়। এভাবে কয়েকদিন আমি আমার আম্মু আব্বুর টাকা চুরি করে জুয়া খেলি৷ এই জুয়ার কারণে আমার পড়াশোনা সহ আমি মানসিক অশান্তিতে ভুগতেছি।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন- আমার দোকানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মাল ছিল। কিন্তু অনলাইন জুয়ায় পড়ে আমার দোকানে এখন ১০ লক্ষ টাকার মালামাল আছে। এবং ব্যাংক ঋণ হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। আমি এখন দেউলিয়া হয়ে ঢাকায় পালিয়ে আছি।
এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) রাজিব কুমার রায় জানান- অনলাইন জুয়ার ব্যাপারে আমাদের অভিযান চলমান আছে। আমরা যখন যেখান থেকে তথ্য পাচ্ছি তখনি সেখানে অভিযান চালাচ্ছি। আর যেহেতু জুয়াটা অনলাইন এবং মোবাইলের মাধ্যমে পরিচালিত হয় তাই জুয়ারিদের ধরতে আমাদের একটু বেগ পেতে হচ্ছে।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।