শাহরিয়ার কবির আকন্দ- গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এম.এম.বি ইটভাটার আগুনের তাপে পুড়েছে প্রায় ৭০ বিঘা জমির ধান। এছাড়াও পান সহ এলাকার বিভিন্ন প্রকার রবি ফলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ধানচাষী বেলাল মিয়া কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ ও সরেজমিনে জানা যায়- পলাশবাড়ী পৌরসভার হিজলগাড়ী গ্রামে গোকুল চন্দ্র কৃষি জমি ও বসতবাড়ী ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এম.এম.ব্রিক্সস নামে অনুমতিহীন ইটভাটা স্থাপন করে কয়েক বছর থেকে ব্যবসা করে আসছে।
২৪শে এপ্রিল বিকেলে ভাটা মালিক গোকুল চন্দ্র তার এম.এম.বি নামে ইটভাটার গ্যাস ছেড়ে দেওয়ায় ভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ভাটার উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বে প্রায় ৭০/৮০ বিঘা জমির ইরি-বোরো ধান পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকার কৃষক সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও অত্র এলাকার পানের বরজ, আম, কাঁঠাল, নারিকেল সহ বিভিন্ন ফলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে বলেও তারা জানান। অপরদিকে কৃষকদের জমি ঘুরে ঘুরে ভাটা মালিক কর্তৃক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। এ নিয়ে উক্ত ভাটা মালিক গোকুল চন্দ্র কৃষকদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করছে।
এব্যাপারে ইটভাটা মালিক গোকুল চন্দ্র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দাপটের সাথে বলেন- ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে যাদের ধান পুড়ে গেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান- পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই নিষিদ্ধ ফিটনেসবিহীন চিমনি ব্যবহার এবং ফসলী জমির উপর ইটভাটা স্থাপন করায় এই ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান।
তারা আরও জানান- এভাটা থাকলে আমাদের ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হতেই থাকবে।তাই আমরা কৃষকরা জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানাচ্ছি এইটভাটা অপসারণের জন্য এবং পাশাপাশি সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।