শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরে তিস্তা সেচ এলাকা জুড়ে সেচের পানি নিশ্চিত করতে ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যায়ে বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের ১৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২০২৪ইং সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে সম্পুর্ণ কাজ।
জানা যায়,‘দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো সংস্কার না হওয়ায় সেচ কমান্ডে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুরের তিস্তা সেচ এলাকা জুড়ে ১লক্ষ ৪হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। সম্পুর্ণ কাজ বাস্তবায়িত হলে ফসলের নিবিড়তা ২৩১ শতাংশ থেকে ২৬৮ শতাংশে উন্নিত হবে।
প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ১ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৫.২৭ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে বলে দাবি নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের। একই সঙ্গে সেচ এলাকায় পরিবেশ ও ভূ‚-গর্ভস্থ পানির স্তরের উন্নতি, জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা, কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ‘প্রকল্পটির আওতায় নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে প্রায় ৮৮১ লাখ টাকা ব্যায়ে (ডিপিপি ব্যায়) তিস্তা প্রধান সেচ খালের ১৫.৭৬ কিলোমিটার, প্রায় ১৩১৩ লাখ টাকা ব্যায়ে (ডিপিপি ব্যায়) দিনাজপুর প্রধান সেচ খালের ২৮.৩৭ কিলোমিটার ও প্রায় ৬১৪ লাখ টাকা ব্যায়ে (ডিপিপি ব্যায়) ১০.৯৪ কিলোমিটার বুড়িতিস্তা প্রধান সেচ খালের ‘ডাইক’ পুনবার্সন ও শক্তিশালী করা হবে। এছাড়াও ৮৬ কিলোমিটার টারশিয়ারী খাল ও ৬৮.৬৫ কিলোমিটার সেকেন্ডারি খাল সংস্কার করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র আরো জানায়, ‘তিস্তা সেচ এলাকায় রবি মৌসুমে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১৫ শতাংশ কাজ সম্পন্নের মাধ্যমেই রবি মৌসুমে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচ প্রদান করা হয়েছে। এতে করে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুরের ১২ উপজেলায় তিস্তা সেচ এলাকা জুড়ে প্রায় ৯২০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হয়েছে। যার ফলে সেচের জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা ও সারের জন্য প্রায় ৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে কৃষকের।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা নিয়মিত কাজ তদারকি করছি। কাজের গুণমান নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর আমরা । আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে খালগুলো সংস্কার না হওয়ায় সেচ কমান্ডে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা তিস্তা এলাকাতে সেচ এলাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহ করার জন্য আমরা এই প্রকল্পটি একনেকে পাঠাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেকে এই প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রকল্প এলাকার এক লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ৫.২৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি। প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ হলে প্রতি বছরে এক হাজার কোটি টাকার বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।