শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদর ও জলঢাকা উপজেলায় হঠাৎ ঝড়ে শতাধিক কাঁচাপাকা বসতবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও সবজি বাগান লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার ১৫ই মে রাত ৯টায় শুরু হওয়া ঝড়ে সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ও জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ঝড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জলঢাকার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন বেরুবন এলাকার আলতাফ হোসেন বলেন- হঠাৎ করে প্রচন্ড ঝড় বাতাস শুরু হয়।
এসময় আমরা যে ঘরে অবস্থান করছিলাম সেটির ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা হলে অন্য ঘরে গিয়ে অবস্থান নেই। সেটি নড়বড়ে হয়ে গেলে স্ত্রী-মেয়েকে বাথরুমে ঢুকিয়ে দিয়ে আমি বাইরে ফাকা জায়গায় আশ্রয় নেই। এই ঝড়ে আমার দুটি ঘর ভেঙ্গে পড়ায় বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি।
সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের বগুড়া পাড়া এলাকার জহির উদ্দিন বলেন- হঠাৎ ঝড়ে আমার একটি ঘর সহ আমাদের এলাকার ২০-২৫টি ঘর ভেঙ্গে পড়েছে। দিনের বেলা রোদ থাকলেও রাতে হঠাৎ করে প্রচন্ড ঝড় বাতাস শুরু হয়।
লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর ইসলাম বলেন- আমার ইউনিয়নের আকাশকুঁড়ি, নিমতলী, বগুড়া পাড়া এলাকাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদের পাঠানো হবে।
ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আতিক আহমেদ বলেন- লক্ষীচাপ ইউনিয়নে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। ঝড়ে আধা হেক্টর জমির ধান কিছুটা ঝড়ে গেছে এবং দুইশত কলার গাছ ভেঙ্গে পড়েছে।
জলঢাকা উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ জানান- ঝড়ে সেখানে ফসলের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। কারণ ইতিমধ্যে ওই এলাকার ৯৫ শতাংশ ভুট্টা ও ধান আগেই কেটে ফেলা হয়েছে।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম বলেন- ঝড়ে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খবর পেয়েছি। চেয়ারম্যানকে তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে।
নীলফামারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন- সঠিক কতগুলো ঘরবাড়ি কিংবা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ঘরবাড়ীর সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করা গেলে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করা হবে।
এদিকে জলঢাকার পশ্চিম শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে ঝড়ের গাছ ভেঙ্গে মাথায় পড়ে রেনুফা বেগম(২৮) নামে এক দুই সন্তানের জননীর মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার আনারুল ইসলামের স্ত্রী।
মঙ্গলবার ১৬ই মে ভোরে ইউকালিপটাস গাছের ডাল মাথায় পড়ে তার মৃত্যু হয়।
নিহত রেনুফার ভাই মমিনুর রহমান জানান- ভোরে ফজরের নামায পড়ে ভাঙ্গা গাছে ডাল সড়াতে যায় রেনুফা।
এসময় বাড়ীর পাশের ভেঙ্গে যাওয়া ইউকালিপটাস গাছের ঠাল টানতে গেলে আলতোভাবে লেগে থাকা সেই ঠাল এসে তার মাথায় পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রেনুফা।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।