Thursday, April 25, 2024
Homeরংপুর বিভাগনীলফামারী জেলানীলফামারীতে বাঁশের সাঁকোতে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

নীলফামারীতে বাঁশের সাঁকোতে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের কোরানী পাড়া ঘাটে যমুনেশ্বরী নদীর উপড় ব্রীজ না থাকায় প্রায় ১০ হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি। গ্রামের মানুষদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করা হয় বাঁশের সাঁকোটি। সাঁকোর পূর্ব দিকে রয়েছে উত্তরা শশী প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রশ্চিমে রয়েছে উত্তর কানিয়াল খাতা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কানিয়াল খাতা মাদ্রাসা, কানিয়াল খাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিনোদন কেন্দ্র ওসমানিয়া উদ্যোন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ওই এলাকার মানুষদের নীলফামারী জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হলো বাঁশের সাঁকো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকাবাসির যৌথ উদ্যোগে মানুষের কাছ থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে যাতায়াত করেন পথচারীরা। বেশী সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। তারা কৃষি পণ্যে বাজারে নিতে না পারায় সঠিক দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্ষার সময় নদীর পানির স্রোত বাঁশের সাঁকো ভেঙে ভেসে যায়, তখন কলা গাছের ভেলা বানিয়ে পার হতে হয়। এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছেন স্থানীয় সহ পথচারীরা। তাদের দাবী একটি ব্রীজ হলে পাল্টে যাবে এই এলাকার দৃশ্যপট।

স্থানীয় বাসিন্দা কৃপা রায় বলেন- কত লোক আইসে ল্যাখে মাপি যায় কিন্তু ব্রীজ আর হয়না। ব্রীজ না হওয়ায় আমাদের কত কষ্ট হচ্ছে। যাওয়া আসার ব্যাবস্থা তেমন না থাকায় অল্প দামে ফসল ব্যাচের নাগে। এই ঘাটের উপড় একটি ব্রীজ হলে যাওয়া আসার অনেক সুবিধা হইবে। ধান চাউল হাটোত নিগি ব্যাচের পামো। ভালো দাম পামো তাইলে।

অপর এক বাসিন্দা আব্দুল ওহাব বলেন- হামার জন্ম থাকি দেখি আসিছি অনেক অফিসার আসি মাপামাপি করে কিন্তু আইজ পর্যন্ত ব্রীজের মুখ হামরা দেখিবার পাইনো না। হামরা অনেক কষ্ট করিয়া হাট, বাজারে যাবার লাগে। হামার ছাওয়া ছোটো ভয়ে ভয়ে সাঁকো পার হয়। হামার কষ্ট দেখিবার কোন মানষি নাই,ভোট আসিলে সগাই ব্রীজ দিবার চায়।ভোটোত জিতিলে হামার আর ব্রীজের খবর নাই।

উত্তর কানিয়াল খাতা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন, ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া জানায়, আমরা অনেক কষ্ট করে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকি। বর্ষার সময় কলার ভেলায় পার হতে হয়। অনেক সময় বই খাতা নদীতে পরে ভেসে যায়, আমাদেরও দুর্ঘটনায় পরতে হয়। সাঁকোর উপড় ব্রীজটির অনেক দরকার।

এ বিষয়ে জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর বলেন- আমি ওই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। খোঁজ নিয়ে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments