নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট না থাকলে পেট্রোল পাম্পগুলোকে জ্বালানি না দেয়ার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে নীলফামারী জেলা পুলিশ।
রবিবার ২৭শে নভেম্বর বিকালে “নো হেলমেট-নো ফুয়েল” এই প্রতিপাদ্যে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভা এ নির্দেশনা দেন পুলিশ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার জানান- সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরোহীদের পেট্রোল কাছে যেন বিক্রয় করা না হয়।
কোন ব্যক্তি হেলমেট ছাড়া তেল নিতে এসে মালিক বা ম্যানেজারের সাথে খারাপ আচারন করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মামলা, জরিমানা সবই করা হচ্ছে। তারপরও অধিকাংশ মোটরসাইকেল আরোহী হেলমেট ব্যবহার করছেন না। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে যাদের মাথায় হেলমেট থাকবে শুধু তারাই পাম্প থেকে তেল নিতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর।
এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডোমার-ডিমলা সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সঞ্চালনায় নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী এস.এম সফিকুল আলম ডাবলু, নীলফামারী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববি, ডিআইও ওয়ান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুর রউপ, ডোমার থানার অফিসার ইনর্চাজ মাহমুদ-উন-নবী, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, ডিমলা থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ লাইছুর রহমান, কোর্ট ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলাম মোমিন সহ নীলফামারী জেলার পেট্রোল পাম্পের মালিক ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পুলিশের এ নির্দেশনাকে স্বাগত জানিয়ে পেট্রোল পাম্পের মালিকেরা হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালকদের কাছে জ্বালানি বিক্রি করবেন না বলেও পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন।
জেলা পুলিশের উদ্যােগে ওসি ও পাম্প মালিকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হবে। এছাড়া প্রতিটি পেট্রোল পাম্পকে সিসিটিভির আওতায় আনার পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার।