আব্দুর রহমান ঈশান, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
মাত্র আট থেকে দশ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে নেত্রকোনায় আট হাজার কৃষকের ১ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছ। ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়েছে। এ সময় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও।
বুধবার ২৯শে মার্চ জেলার পূর্বধলা ও সদর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ শিলাবৃষ্টিতে বোরো ফসলি জমিসহ অসংখ্য সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকায় এখনও কোন জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কাউকে দেখেননি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর, রৌহা ও পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া, খলিশাউর গোহালাকান্দা ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রচন্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এতে বেশ কয়েকটি গ্রামের অসংখ্য গাছপালা কাঁচা ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি বিনষ্ট হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ করেই পুরো এলাকায় এক ধরনের ভূতুড়ে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিছু বুঝে উঠার অগেই ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলা ঝড়ের তাণ্ডবে ২৫ থেকে ৩০টি গ্রামের আমের মুকুল, শশা ক্ষেত, বোরো ধান, লাউ ক্ষেত, কলা বাগান, কুমড়া বাগানসহ উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঝড় ও শিলাবৃষ্টি তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ না হলেও শাকসবজি উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, জানিয়েছে- জেলা কৃষি বিভাগ।
নেত্রকোনা জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক এ এম শহিদুল ইসলাম জানান, জেলায় এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
এরমধ্যে পূর্বধলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শিলা বৃষ্টিতে ১ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় আট হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।