আবু সাঈদ- পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) দের সালনা জলসা‘কে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২জন নিহত। সাধারণ মুসল্লি, পুলিশ, সাংবাদিক সহ আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত। নিহতের নাম মোঃ আরিফ হোসেন(২৬)। সে পঞ্চগড় পৌরসভার বাসিন্দা। প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে পৌরসভার ডোকরোপাড়া এলাকায় সে আড্ডা দিতো। আরেকজন নাটোরের বনপাড়া এলাকার জাহিদ হাসান(২২)। তিনি প্রতি বছরের মত এবারও বার্ষিক সালানা জলসায় যোগ দিতে জেলা শহরের আহমদ নগর এলাকায় এসেছিলেন। শুক্রবার ৩রা মার্চ জুম্মার নামাজের পর মুসল্লিরা পঞ্চগড় শের-ই-বাংলা পার্ক চৌরঙ্গি মোরে একত্রিত হয়।
ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাদিয়ানি বিরোধী মিছিল বের করলে পুলিশ বাঁধা প্রদান করে। এতে সংঘর্ষ শুরু হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। একপর্যায়ে র্যাব, বিজিবি সহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এর মধ্যে পঞ্চগড় ট্রাফিক পুলিশ অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হলে সেখানে থাকা ৭টি মোটরসাইকেল, অফিসে সমস্ত ডকুমেন্ট, কম্পিউটার, ট্রাফিক পুলিশের পোশাক ও আইডি কার্ড সহ সমস্ত অফিস আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ সময় আরও দু‘টো ট্রাফিক পুলিশ বক্স একটি ভাংচুর ও অপরটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পঞ্চগড় বাজারে কাদিয়ানিদের দোকানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, ফুলতলা বাজারে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন কয়েকটি দোকানে অগ্নিসংযোগ, তাদের কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ, বিজিবি, র্যাল, সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষের বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। জেলা শহরের সড়কে একাধিক স্থানে রাস্তার উপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সাধারণ মুসল্লি, পুলিশ, সাংবাদিক সহ আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশত।
বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা সহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রচুর ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে। সাংবাদিকদের উপর বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা, ভিডিও ধারনে বাঁধা প্রদানের ফলে শতভাগ তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন স্থান থেকে সূত্রে পাওয়া তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনাটি কারো ইন্ধনে সুপরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবী সকলের। এ বিষয়ে পুলিশের কিংবা প্রতিবাদ আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী কারও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও ভিডিও চিত্র ধারনে বাঁধা প্রদানের কারনে বিষয়টি নিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার পর সালনা জলসা বন্ধের কথা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানানো হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার সাদাত সম্রাটকে সার্বিক চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।