মোস্তফা মিয়া- পীরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধিঃ
নদী আইন লঙ্ঘন করে রংপুর ও দিনাজপুরকে বিভক্ত করে প্রবাহিত করতোয়া নদীর পাড় ও পাড় সংলগ্ন জমি কেটে প্রতিনিয়ত পাচার করায় গতিপথ পরিবর্তন হযে যাচ্ছে। সেই সাথে পীরগঞ্জ উপজেলার জন্তিপুর নামক স্থানে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মানাধীন জন্তিপুৃর সেতু এখন হুমকির মুখে।
নির্মানাধীন ওই ব্রীজের কয়েক’শ গজ উজানেই নদীর পাড় ও পাড় সংলগ্ন জমি কেটে বালু পাচারকারীরা যে ভাবে নদীর প্রশস্ততা একদিকে নিয়ে যাচ্ছে,এতে করে আগামীতে সামান্য বন্যায় করতোয়ার গতিপথ পরিবর্তন হবার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, জন্তিপুর নামক স্থানে ইতিমধ্যে নদীতে জেগে ওঠা বিশাল চর কেটে পাচারের পর এখন নদীর পাড় ও পাড়সংলগ্ন জমি কেটে পাচার করা হচ্ছে। এজন্য সংঘবদ্ধ একটি চক্র নদী সংলগ্ন জমির মালিক ও লীজ গ্রহনকারীদের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে নিজেদের নামে লিখে নিয়ে নদী আইন লঙ্ঘন পুর্বক ভেকু দিয়ে কেটে ৩০ হতে ৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত পলিমাটি-বালু পাচার করছে।
পাচার করা বালু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্রয় করে মেগা প্রকল্প ৪ লেন সড়কে সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে নদীর পরিধি বাড়ছে। এতে করে আগামীতে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের আশংকা করা হচ্ছে। করতোয়া নদী সংলগ্ন টুকুরিয়া ইউনিয়নের জন্তিপুর গ্রামের বাসীন্দারা অনেকেই তাই আতংকের মধ্যে রয়েছেন।
বিশেষ করে নদী সংলগ্ন যাদের জমি রয়েছে তারা নীদ্রাহীন দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। পাশের জমি কেটে নেয়ার পর এখন তাদের পালা। জমি না কাটলেও বন্যার সময় এমনিতেই এসব জমি পানির তোড়ে ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে তারা চিরদিনের জন্য ওইসব আবাদী উর্বর জমি হারিয়ে ফেলবেন।
অভিযোগে জানা গেছে, এলাকায় চিরচেনা উজ্জল, আরিফসহ ৬/৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র বালু পাচারে সরাসরি সম্পৃক্ত। আরিফ ভুমি অফিসের কর্মচারী। উজ্জল একজন সচিবালয়ের এক পদস্থ কর্মকর্তার ভাতিজা হিসেবে পরিচয় দেয়। স্থানীয় প্রশাসন এদের যাবতীয় তথ্য অবগত হবার পরেও এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় না।
উপরন্ত এরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কেউ প্রকাশ্যে এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলারও সাহস করে না। টানা বছর ব্যাপী বালু পাচারে জড়িত থাকলেও এদের বিরুদ্ধে আজও পর্যন্ত বালু পাচারের কোন মামলাই হয়নি রহস্যজনক কারনে। অথচ করতোয়ার অন্যান্য স্থানে বালু পাচারকারীদের অনেকের নামেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তারা এসব মামলা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হাসান ১৫ দিনের প্রশিক্ষনে দেশের বাইরে। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)তকি ফয়সাল তালুকদার বলেন-আমি নতুন যোগদান করেছি। তারপরেও বিষয়টা দেখবো।আমি।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।