রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল’সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের মলক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী আর্মি, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, র্যাব’সহ বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীতে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ফজলে এলাহী এলমানকে(২৫) অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে হাতুড়িপেটাসহ ১৪টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি। আজ শুক্রবার ২২শে জুলাই দুপুর ১টা ১৫ ঘটিকাযর দিকে উত্তর ফকিরপুর রশিদ কলোনি এলাকা থেকে সহযোগী সবুজসহ(২২) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযান চলাকালীন সময়ে আসামীদের কাছ থেকে একটি দেশিয় তৈরি এলজি ও ৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফজলে এলাহী এলমান নোয়াখালী পৌরসভার উত্তর ফকিরপুর এলাকার মৃত আবুল খায়েরের ছেলে এবং সহযোগী সবুজ চরদরবেশ এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম আজ শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতার ও অস্ত্র-মাদক উদ্ধারের বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এলমান পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাকে দীর্ঘদিন থেকে পুলিশ খুঁজছে। শুক্রবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রমোজ চৌধুরী রশিদ কলোনি এলাকার মাতৃ মেডিসিনের সামনে থেকে সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন- গ্রেফতারকৃত আসামী এলমান ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে নতুন দু‘টি মামলা রুজু করা হচ্ছে। এলমান আগেও ১৪টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।
এর আগে গত ৩রা জুন (শুক্রবার) বাড়ি নির্মাণে চাঁদা দাবির মামলায় কারাগার থেকে বের হয়ে মাইজদি রশিদ কলোনি এলাকায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রবকে(৪৭) হাতুড়িপেটা করেন সন্ত্রাসী ফজলে এলাহী এলমান ও তার সহযোগীরা। ওই মামলায়ও এলমান প্রধান আসামি ছিলেন।