Friday, April 19, 2024
Homeসিলেট বিভাগসিলেট জেলাপ্রেমের টানে জার্মান তরুণী এখন বিশ্বনাথে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে!

প্রেমের টানে জার্মান তরুণী এখন বিশ্বনাথে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে!

আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
জার্মানীর স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মারিয়া। সুদূর জার্মান থেকে প্রেমের টানে ছুটে এসেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরশহরে।

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পছন্দের মানুষ আব্রাহাম হাসান নাঈমের সঙ্গে। পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আব্রাহাম বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার ৫ই জানুয়ারী রাজকীয় আয়োজনে সারা হয় আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

তবে, এই বিয়েকে ঘিরে আব্রাহামের বাড়িতে গত শুক্রবার থেকে চলছে আনন্দ-উৎসব ও ভূড়িভোজ। জার্মান নাগরিক মারিয়াকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক লোকজন।

জানা যায়- বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সাথে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার সম্পর্ক। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার।

প্রথমে মারিয়া আব্রাহামকে জার্মানীতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজী হননি আব্রাহাম। একপর্যায়ে গত ২৩শে ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। এরপর, মুসলিম রীতি অনুযায়ী দু’জনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

এদিকে, আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ে উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো বাড়ি। আমন্ত্রণ জানানো হয় শ্রীধরপুর গ্রামসহ আশপাশ গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে।

রাজকীয় এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত এলাকাবাসী। তাদের অনেকেই জানান- বিশ্বনাথে এ ধরণের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান খুব কমই দেখা যায়। সকল আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম।

আব্রাহামের চাচাতো ভাই আবদুল বাতিন জানান- মারিয়া জার্মানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে গবেষণা করছেন। খুব শিগগিরই জার্মান থেকে মারিয়ার মা-বাবা বাংলাদেশে আসবেন।

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় খুবই খুশি আব্রাহাম হাসান নাঈম-মারিয়া দম্পতি। এক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন- সারা জীবন যেন আমরা একসাথে থাকতে পারি। সে জন্যে সকলের দোয়া চাই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments