রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল’সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের মলক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী র্যাব, আর্মি, বিজিবি’সহ বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের টেকনাফ সদরের কেরুনতলী সংলগ্ন নাফনদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে https://bn.wikipedia.org/wikiএক কোটি ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৪ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার পিস ইয়াবা, মিয়ানমারের প্রচলিত মুদ্রা ২ লাখ ৩০ হাজার ২০০ কিয়াত ও আনুমানিক ১৪ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে। এসময় ০৭ পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ- ২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার গণমাধ্যমকে এই তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন- শুক্রবার ১৩ই মে ভোররাতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৭ থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে কেরুনতলী নামক এলাকায় নাফনদীর পাশে একটি বাড়িতে মিয়ানমার হতে পাচার করে আনা মাদকদ্রব্য মজুদ রাখা আছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালীন ওই বাড়িতে অবস্থানরত ৪ জন ব্যক্তিকে পুঙ্খাপুঙ্খানুভাবে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পরhttps://www.google.com/৭১সংবাদ২৪.কম শোয়ার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ১০ হাজার পিস ইয়াবা, মিয়ানমারের প্রচলিত মুদ্রা ২ লাখ ৩০ হাজার ২০০ কিয়াত ও ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের ১৪ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে ওই আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে হ্নীলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকা চৌধুরীপাড়ায় ব্যাটালিয়ন সদর ও হ্নীলা বিওপির চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল একটি অভিযান চালায়। ওই অভিযানে আটককৃত ব্যক্তির তথ্যানুযায়ী ১-নং সুইচগেইট নামক স্থান হতে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো- টেকনাফ বরইতলীর মৃত আব্দুল জাব্বারের ছেলে শফি উল্লাহ(৫৫), স্ত্রী তৈয়বা বেগম(৪০), তাদের ছেলে আনোয়ার হোসাইন(১৯), আনোয়ারের স্ত্রী লাকি আক্তার(১৯), সুলতান আহমদের ছেলে মোঃ জালাল(২৬), রহমত আলীর ছেলে মোঃ রেদোয়ান(১৯) ও এক জন কিশোর(১৬)।
বিজিবির অধিনায়ক আরও জানান- উদ্ধারকৃত মিয়ানমারের কিয়াত ও স্বর্ণ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের ট্রেজারি শাখায় জমা পূর্বক আটককৃত ৭ আসামীকে মাদক চোরাচালান এবং অবৈধভাবে বিদেশে মানবপাচারের সাথে জড়িত থাকার দায়ে দেশের প্রচলিত আইনে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।