শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
‘বেঞ্চ এবং বারের সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হতে পারে’ মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমাদের আইনজীবী যারা আছেন তাদেরকে বলবো, বেঞ্চ এবং বারের সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং একটি কন্টিনিয়াল এ্যাটমোসফেয়ার থাকলেই এটি সম্ভব। আমি বিজ্ঞ আইনজীবীদের বলবো আপনারা বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করবেন। আমি বিচারকদেরকেও বলবো আপনারা বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে)নীলফামারীতে জেলা জজ আদালতে আইনী সহায়তা নিতে আসা মানুষদের জন্য “ন্যায় কুঞ্জ” নামে একটি বিশ্রামাগার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি।

সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, মামলার জট কমানো ও দীর্ঘসুত্রিতা একটি দীর্ঘ দিনের সমস্যা। মামলার জট কমাতে যে পরিমাণ বিচারকের প্রয়োজন তার চেয়ে বিচারকের সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা আমাদের উর্দ্ধতন আদালত ও স্থানীয় আদালত নিদারুণ চেষ্টা করছে যাতে মামলার ডিসপোজাল বাড়ানো যায়। এজন্য আমরা একটি কমিশনও গঠন করেছি।'

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরও বলেন,বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য আইনজীবীদের সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। আমাদের স্থানীয় আদালত শুরু হওয়ার কথা সকাল ৯ টায়। তাই আমি আইনজীবীদের অনুরোধ করবো তারা যেন সময় মেইনটেইন করে আদালতে উপস্থিত হয়। আর‌ আমিও বিচারকদেরও অনুরোধ করবো তারা যেনো নির্ধারিত সময়ে বিচার কার্যক্রম শুরু করেন। যাতে করে আমরা প্রতিদিন অন্তত ৪-৫টা মামলা নিষ্পত্তি করতে পারি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহমুদুল করিমের সভাপতিত্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ গোলাম সারোয়ার ও এ.বি.এম গোলম রসুল, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর পিপিএম, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. মমতাজুল হক সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধান বিচারপতিকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিচার বিভাগ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা।