Friday, April 19, 2024
Homeরংপুর বিভাগনীলফামারী জেলাভার্চুয়াল জুয়ায় স্বদেশীয় প্রতারণার কৌশল

ভার্চুয়াল জুয়ায় স্বদেশীয় প্রতারণার কৌশল

শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রবাসীদের নিঃস্ব করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৩নং নিতাই ইউপি, ৪নং বাহাগিলী ইউপি, অনেক দুষ্কৃতিকারীরা।

মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে প্রচলিত অনলাইন ভিত্তিক লটারী প্রতিযোগীতায় বিজয়ী নম্বর প্রদানের নামে সুকৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর পর প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে অর্থ আত্মসাতের হাজারো অভিযোগ উঠছে।

প্রতারকদের চলাফেরার পরিবর্তন দীর্ঘদিন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা প্রতারিত অর্থ দিয়ে সপ্তাহে সপ্তাহে মোটরবাইক ক্রয় ও পরিবর্তনের মাধ্যমে দামী দামী মোটরসাইকেল ব্যবহার, উন্নত বিল্ডিং বাড়ি নির্মাণ, নেশা দ্রব্য সেবন, অশ্লীল নারীদের নিয়ে আনন্দ ফুর্তি করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে হরহামেষাই ।

ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সোস্যাল মাধ্যমে বিভিন্ন আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন বুষ্টিং এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনলাইন লটারির বিজয়ী নম্বর নিশ্চিতের নামে প্রতিশ্রুতিমুলক বক্তব্য দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশী প্রবাসীদের কাছ থেকে।

আন্তর্জাতিক এসব জুয়ায় জেতার নির্ভুল ও সঠিক নাম্বার দিতে চেয়ে অগ্রিম অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এই ডিজিটাল প্রতারকরা। প্রতারণার মাধ্যম হিসেবে চক্রটি বিভিন্ন ইমো, হোয়াটস অ্যাপ, মেসেঞ্জার ব্যবহার করে থাকে যার প্রমাণও মিলেছে। টাকা গ্রহণে তারা ভিন্ন নামীয় বিকাশ, নগদ বা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর ব্যবহার করে থাকে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে ছলিমুদ্দির বাজারের অনলাইন ভিত্তিক লটারী- থাই ও টোট খেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে অনেকেই। এমন নিকৃষ্ট কাজে পিছিয়ে নেই কিশোর কিশোরীরাও। অভাবের সংসারে যেন আলাদিনের চেরাগ জ্বলছে। অবৈধ পথে এভাবে অর্থ আসাতে, পরিবার গুলোর পিতা-মাতারাও সমানতালে উৎসাহ দিচ্ছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়- অনেকেই বিকাশের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে প্রতারিত করছে এবং বিকাশের মাধ্যমে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুষ্টিং দিয়ে আকর্ষনীয় বিজ্ঞাপন ছাড়ছে আর ফাঁদে ফেলেছে বাংলাদেশ ছেড়ে প্রবাসে থাকা, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জনকারী হাজারও প্রবাসীদের।

প্রবাসীরা নাকি তাদের খুশি হয়ে টাকা দেয়। অন্যরা সবাই বুষ্টিং করে, তাদের অনেকেই এখন এই অবৈধ পেশায় যুক্ত হয়ে উপার্জন করে ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। বাবা মায়েরা টাকা পেলে মহা খুশি হয়, এজন্য আর পড়াশোনার কোন চাপ নাই।

এলাকায় কেউ প্রশাসনকে ভয় করে না। সবাই সিস্টেম করে চলে। মামলা হওয়ার আগে আমাদের আগাম জামিন হয় হাইকোর্টে। কেউ আটকিয়ে রাখতে পারে না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments