হারুন-অর-রশিদ বাবু- বিশেষ প্রতিনিধি.
রংপুরে আদালতের স্থিতিবস্থা আদেশ থাকা সত্বেও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র বরাদ দেখিয়ে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে রংপুর মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক কাওছার জামান বাবলা ও ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন(অভিযুক্তের শ্বশুড়) বিরুদ্ধে। তবে বিএনপি নেতার দাবি আমি পাওয়ার দেখালে তারা নিজেদের বাড়িতেই থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টাবর) বিকেলে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকার মানিক অধিকারীর স্ত্রী শিখা রানী অধিকারী।
এসময় তার সাথে ছিলেন, তার পুত্র শৌক্তিক অধিকারী, কন্যা লগ্ন জিতা অধিকারী, আইন ও অধিকার ফাউন্ডেশনের রংপুর বিভাগীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারি, এ্যডভোকেট শান্তি রানি বর্মন, আসাদুল ইসলাম, সনাতন সরকার প্রমুখ।
এসময় শিখা রানী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, ‘তার শ্বশুর ডা. মধুসূদন অধিকারী ও জ্যাঠা শ্বশুর মহেন্দ্রনাথ অধিকারী যৌথভাবে ৩৬ শতাংশ জমি দলিলমূলে ক্রয় করে বিগত ৫২ বছর ধরে বসবাস করছেন। পারিবারিকভাবেনা জানিয়েই আমার জ্যাঠা শশুড় তার ভাগের ১৮ শতক জমি বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলার কাছে গোপনে বিক্রি করেন। গত বছর গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে কাওছার জামান বাবলা আমাদের বাড়ির সামনে এসে দ্রুত জমি খালি করে দেয়ার হুমকি দেন।
গত (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিএনপি কাওছার জামান বাবলাসহ তার শ্বশুর ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল মিয়াসহ সন্ত্রাসীরা জমি মাপজোক করার নামে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে এবং জমি ছেড়ে না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দিয় চলে যায়। এসময় তিনি ৫৩, লাখ ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে জমিটি কিনেছেন বলে ১৮১৮০/২০২৩ নং দলিলেরি একটি ফটোকপি দেন। পরবর্তীতে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখি তার ওই দলিলটি ভূয়া। তার আসল দলিলে মুল্য লেখা ২২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
পরবর্তীতে আমার শ্বশুর ডা. মধুসূদন অধিকারী পরবর্তীতে কোর্টে ২২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং ৫ ভাগ ট্যাক্স দাখিল করে বাদী হয়ে গত ২৫/০৯/২০২৩ইং রংপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে কাওছার জামান বাবলাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১৯৪৯ সালের অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইনের ২৪ ধারার বিধানমতে অগ্রক্রয় (Pre-Emtion) এর নিমিত্তে মামলা করেন( মিস কেস নম্বর ৫৮/২০২৩)।
শিখা রানি বলেন, আমার শ্বশুরের দায়েরকৃত অগ্রক্রয় (Pre-Emtion) মামলায় গত ০৪/১০/২০২৩ইং তারিখে কাওছার জামান বাবলার আপত্তি দাখিলের শুনানী শেষে ওই জমিতে বে-আইনীভাবে অনুপ্রবেশ করে ঘর বাড়ি নির্মাণ কিংবা আকার আকৃতি পরিবর্তন না করার আদেশ দেয় আদালনত। এরপর ২৯/১০/২০২৩ইং তারিখে আবারও শুনানি শেষে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই সম্পত্তির আকার, আকৃতি ও প্রকৃতির উভয়পক্ষকে স্থিতিবস্থা (Status Quo) বজায় রাখার আদে শ দেন। মামলাটি এখনও চলমান।
সংবাদ সম্মেলনে শিখা রানী অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের আমলে বাবলা তার আওয়ামী লীগ নেতা শশুড় জামাল উদ্দিনকে দিয়ে আমাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেস্টা করেছিল। গত (৫ আগস্ট) ছাত্র-জনতার অভ্যূন্থানের পর বিএনপি নেতা বাবলা ও তার শ্বশুড় আওয়ামী লীগ নেতা জামালের নেতৃত্বে ১৩/০৮/২৪ তারিখ ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িঘর হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরা, টিনে ঘেড়া বাড়ির বাউন্ডারি ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে লুটপাট চালায়।
এসময় ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল টিম আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসিসহ বিএনপি ও জামায়াতের জেলা মহানগর নেতৃবৃন্দ আমাদের বাড়ি পরিদর্শন করে ঘটনার নিন্দা ও এবং আমাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এ ঘটনায় আমরা একটি মামলা করলেও মাহিগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি রওশন কবির আমাদের এজাহার খানা রেকর্ড করেনি। এরপর বাবলা হুমকি দেয় আমার পরিবারকে মামলা দিয়ে শেষ করে দিবে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার স্বামীকে জুলাই অভ্যুন্থানে নিহত ও আহতদের মামলায় আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ধরণের ৩ টি মামলা হয়েছে। এই অবস্থায় আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম আতংক গ্রস্ত হয়ে আছি।
শিখা রানী বলেন, কাওছার বাবলা বিএনপি দলের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছে এবং আমিসহ আমার দুই সন্তান ও পরিবারকে ধ্বংস এবং দেশ থেকে বিতারিত পাঁয়তারা করছে। এ ব্যপারে সরকার, আইন শৃঙখলাবাহিনীর এবং বিএনপি’র কেন্দ্রীয় এবং জেলা ও মহানগর নেতাদের কাছে পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি।
এ ব্যপারে রংপুর মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক অভিযোগ উঠা কাওছার জামান বাবলা বলেন, ওরা কিসের বলে সংবাদ সম্মেলন করে। জায়গা আমার। আমি জেলে গেছি। ওই সুযোগে ওরা টিন দিয়ে আমার ঘিরে আমার জায়গা দখল করেছে। ওরা প্রিয়িমশন করেছে। করলেই কি জায়গার মালিক হলো।
বিএনপি ক্ষমতা দেখানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে বাবলা বলেন, আমি ওদেরকে কোন পাওয়ার দেখাইনি। আমি যদি পাওয়ার দেখাই তাহলেও ওরা ওদের নিজের জায়গাতেই থাকতে পারবে না। আমার এরকম পাওয়ার আছে। আমার শশুড় যদি আওয়ামী লীগ করে তার সাথে আমার কি সম্পর্ক বলো। আমার শশুড়ের পাওযার কি আছে, আমার পাওয়ার কি কম আছে। আমি কি আমার শশুড়ের পাওয়ারে চলি। আমি আমার কাওছার জামান বাবলার পাওয়ারেই চলি।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।