বর্ণালী জামান বর্ণা- নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজানকে ঘিরে চাহিদা বেড়েছে লেবু ও শসার। রোজার শুরুতেই নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বাড়ানো হলে অস্থির হয়ে উঠে বাজার। তবে গত সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে, লেবু, শসা, তেল, ছোলা, চিনিসহ মাছ- মুরগির দাম।
বৃহস্পতিবার ৭ই এপ্রিল রংপুর সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে- সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমে পাইকারি বাজারে লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা ও শসা ৪০ টাকা।
আমদানি বেশি থাকায় শসা ও লেবুর দাম কিছুটা কম। তবে প্রথম দিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতাও কিছুটা কম- বলেন ব্যবসায়ীরা।
শবরত ছাড়া ইফতার কল্পনায় করা যায় না। তাই লেবু কিনতে এনেছেন ক্রেতারা। তারা বলেন- সারাদিন রোজা রেখে তৃষ্ণায় কাতরতা দূর করতে এবং পানির ঘাটতি পূরণ করতে শরবত একান্ত প্রয়োজন। তাই লেবুর বিকল্প নেই।
দাম বেশি হলেও কিনতে হবে। তবে প্রথম রোজার তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। প্রথম রোজায় কিনেছি ৫০-৬০ টাকা হালি, আজ কিনেছি ৪০ টাকা। দাম কম হলে সবার জন্যই ভালো হয়।
এদিকে আমদানি বেশি থাকায় মাছের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে, ক্রেতাদের জাক জমক সাড়া মিলেছে এমন চিত্রই দেখা গেছে মাছের বাজারে। ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৭৫০ টাকা, রুই ২৩০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, গচি ৬০০ টাকা,পাবদা৩০০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য মাছের স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে মুরগির দাম।ব্রয়লার ১৫৫, পাকিস্তানি ২৮০ টাকা,দেশী ৫০০ টাকা এবং লেয়ার ২৩০ টাকা। বলেন মুরগি ব্যবসায়ী।
সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা লাগাম টেনেছে তেল, চিনি, ছোলার দামে। তেল লিটারপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, ছোলা ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। চিনির দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৭০ টাকা। লাল চিনি ৮৫-৮৬ টাকা।
গত সপ্তাহের দরেই রয়েছে মসলার দাম। তবে কিছুটা কমেছে দাম করে কেজিপ্রতি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৩০-৩৪০ টাকা।
নিত্যপণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার নাগালেই থাক, জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরুক। এই প্রত্যাশা সকলের