Saturday, April 20, 2024
Homeরাজশাহী বিভাগচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলারাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আঃ রউফ র‍্যাবের হাতে আটক

রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আঃ রউফ র‍্যাবের হাতে আটক

রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের মলক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’-এর ইসাবা গ্রুপ বা সামরিক শাখার এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। মোঃ সানোয়ার হোসেন আঃ রউফ(৪৪) নামে মৃত্যুদণ্ড ওই জেএমবি নেতা চাঁদপুরে আব্দুল্লাহ নাম ধারণ করে আত্মগোপন করে ছিল। সেখানে সে আত্মগোপনে থেকে ভেড়া লালন-পালন ও রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে জীবন নির্বাহ করতো।

আজ রবিবার ১৭ই এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ দুপুরে এটিইউ’র পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ আসলাম খান গণমাধ্যমকে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৬ই এপ্রিল নওগাঁর পত্নীতলা এলাকার নজিপুর এলাকা থেকে জেএমবি‘র একজন মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জঙ্গি নেতার মোঃ সানোয়ার হোসেন আঃ রউফ(৪৪)। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

গ্রেফতারকৃত সানোয়ার হোসেন ২০০০ইং সালের পরে শায়খ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্যভুক্ত হয় উল্লেখ্য করে মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন- তখন সে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে নাচোল ও গোমস্তাপুরে জেএমবির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল। ২০০৭ইং সালে ২৯শে মার্চ শায়খ আব্দুর রহমানের কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয়। এর বেশ কিছু দিন পর মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির আমির হয়। পরবর্তী সময়ে তারা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।

তিনি বলেন- একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। কোন্দলের জেরে ২০১২ইং সালের ২৬শে এপ্রিল জেএমবি’র স্বঘোধিত আমির সালমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানাধীন খুলশী বোরিয়া আমবাগান এলাকায় কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে। তার মাথা ও দেহ দুই জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আঃ শুকুর ও জাহাঙ্গীরের দেওয়া তথ্য মতে মহানন্দা নদীর তীর থেকে পুঁতে রাখা সালমানের মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল সানোয়ার হোসেন। সে এরপরও ১০ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থেকে পুরাতন জেএমবিকে সক্রিয় করার কাজ করে যাচ্ছিল। গত ২৫শে নভেম্বর ২০১৯ইং সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সালমান হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সানোয়ারসহ তিন জনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments