মাহাবুব আলম- রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভার ২ কোটি টাকা দরপত্রের যে কাজ এ উপজেলার কোন ঠিকাদার করার যোগ্যতা রাখেনা সে ঠিকাদাররাই করলো সময়ের আবেদন। আর এ অভিযোগে পৌর কার্যালয়ে ছুটে আসলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ।
পৌর অফিস সূত্রে জানা যায়- জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল প্রকল্পের আওতায় সোলার স্টিক লাইট স্থাপনের জন্য পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী এসএম জাবেদ আলী স্বাক্ষরিত টেন্ডার নোটিশ লটারির (এল টিএম) মাধ্যমে দরপত্র আহবান করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। ৮ই সেপ্টেম্বর সিডিউল ক্রয় করার শেষ ছিল দিন।
বিষয়টি পৌর মেয়রের নজরে আসলে দরপত্রটি নিয়ম অনুযায়ী লেসের মাধ্যমে (ও টি এম) করার কথা জানিয়ে প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। ২ কোটি টাকা দরপত্রটি এক অফিস আদেশে পৌর মেয়র ১লা সেপ্টেম্বর স্থগিত করেন। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার দরপত্রটির সিডিউল ক্রয়ের তারিখ পরিবর্তনের জন্য ৬ই সেপ্টেম্বর ইউএনও এবং স্থানীয় সরকার শাখা ঠাকুরগাঁও উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেন। যে দরপত্রটি স্থগিত হয়েছে সে দরপত্রটির সময়ের আবেদন করা নিয়ে স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে।
তাছাড়া এ উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল প্রকল্পের আওতায় সোলার স্টিক লাইট স্থাপনের লাইসেন্স কোন ঠিকাদারের নেই। স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগের মুল উদ্দেশ্য টেন্ডারের কাজটি সাব-ঠিকাদার হিসাবে কিনে নিবেন কিংবা সুপারভাইজার হিসাবে মুল ঠিকাদারের কাজটি করবেন।
দরপত্রের বিষয়টি স্থানীয় ঠিকাদার রাসেল আহাম্মেদ তুসারের ফেসবুক ওয়াল থেকে জানা যায়- ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি না জেনে না শুনে মেয়রে বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে সেটা ভিত্তিহীন। একটা সম্মানিত ব্যক্তিকে নিয়ে বদনাম ছড়ানো আগে তাদের জানা উচিৎ ছিল।
উপজেলা প্রকৌশলী কেএম সাব্বিরুল এনাম বলেন- আমার জানা মতে স্টিক লাইট স্থাপনের লাইসেন্স এ উপজেলায় কোন ঠিকাদারের নেই। সম্প্রতি এলজিইডি দপ্তর হতে এধরণের একটি কাজ আমরা করেছি সেটি বগুড়ার ঠিকাদার।
এ উপজেলার ঠিকাদারদের লাইসেন্স দিয়ে দরপত্র দাখিল করা যাবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে সম্পাদক সেফাউল আলম সেফা বলেন, সিডিউলের শর্তাবলী না দেখলে বলা মুশকিল।
সহকারি প্রকৌশলী এসএম জাবেদ আলী বলেন- দরপত্রটি মেয়র মহোদয় স্থগিত করেছে।
ইউএনও অফিসে স্থগিতের বিষয়টি কেন জানানো হলোনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন- যেহেতু দরপত্রটি স্থগিত হয়েছে এবং ডিসিউলও তৈরি কিংবা বিক্রি করা হয়নি এজন্য কোন অফিসকে জানানো হয়নি। পৌরসভার দ্বার্য়িত।প্রাপ্ত প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতি বলেন টেন্ডারের বিষয়টি ১লা তারিখ স্থগিত করে প্রকৌশলীকে মেয়র সাহেব বলে গিয়েছেন ভারতে চিকিৎসার কাজে। তা আমার জানা ছিল না অফিসে প্রকৌশলী সাহেব আসার পর জানতে পারি ঘটনাটি।
এ ব্যপারে মেয়রের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- দরপত্রের নোটিশে ত্রটি থাকার কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। এজন্য সিডিউলও তৈরি করা হয়নি এবং কি বিভিন্ন দপ্তর কেও জানানো হয়নি।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন- আসলে ১ সেপ্টেম্বর মেয়র সাহেব দরপত্রটি স্থগিত করে চলে গেছেন। অফিসের লোকেরা আমাকে তা অবগত করেনি। পরে প্রকৌশলী সাহেব আমার কাছে এসে ভুল স্বীকার করে বলেন এমটি আর হবে না পরবর্তীতে।