রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই-স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে সমাজে বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলছে।
র্যাব-১৫, কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষণকারী, দুধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, খুনি, অপহরণকারী, প্রতারকদের গ্রেফতার তথা বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কলাতলীস্থ সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় পিডব্লিউডি গেস্ট হাউস জোন এলাকায় আল-ফাতাহ্ রির্সোট এর ৫-ম তলা সি-৫ রুমের ভিতর জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে অনেক লোক সমাবেত হয়েছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ১৩ই জুন ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক ১৯.৪০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খেলারত অবস্থায় ৮ জনকে আটক করে।
অভিযানে আটককৃত আসামী হলো- ১। আলমগীর হোসেন(৩৯), পিতা- মোক্তার আহাম্মদ সওদাগর, মাতা- মোসলেমা খাতুন, সাং- ফিসারীপাড়া বিমানবন্দর গেইটের সামনে ২নং পৌরওয়ার্ড, ২। শামীম আহাম্মেদ(৪৬), পিতা মৃত- মোজাফ্ফর আহাম্মদ, মাতা- আঙ্গুরা বেগম, সাং-পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড নতুন বাহারছড়া, ৩। কাজী রাসেল আহাম্মদ(৩৬), পিতা- মৃতঃ কাজী তোফায়েল আহাম্মদ, মাতা- রেজিয়া বেগম, সাং- সৈকতপাড়া ১২নং পৌরওয়ার্ড, ৪। মোহাম্মদ নূর(৩৮), পিতামৃত- নজির হোসেন, মাতামৃত- আছিয়া খাতুন, সাং- সৈকত পাড়া ১২নং পৌরওয়ার্ড, সর্ব থানা-সদর।
৫। কামাল উদ্দিন(৩০), পিতা- শফি আলম, মাতা- সমরাজ খাতুন, সাং- জালিয়া পালং ২নং ওয়ার্ড, ৬। নবী সুলতান(৪৮), পিতা- মোঃ জাকারিয়া, মাতা- মৃত খতিজা বেগম, সাং- রাজাপালং ২নং ওয়ার্ড, এসআর প্লাজা, ৭। কবির আহাম্মেদ(৪৭), পিতা- মোহাম্মদ হোসেন, মাতা- সখিনা খাতুন, সাং- রাজাপালং, ৩নং ওয়ার্ড, সর্বথানা- উখিয়া, সর্বজেলা- কক্সবাজার, ৮। রবিউল হোসেন(৩৫), পিতা- কামাল উদ্দিন, মাতা- জাহানারা বেগম, সাং- কলাউজান, ৪নং ওয়ার্ড, খলিল সিকদারের বাড়ি, থানা- লোহাগাড়া, জেলা- চট্রগ্রাম।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটকৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা রুম হতে এলোমেলো অবস্থায় ০৬ সেট তাস এবং নগদ ১৩,১৮,৯৬০/- (তের লক্ষ আঠারো হাজার নয়শো ষাট) টাকা উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
উল্লেখ্য যে- বর্ণিত ওই রিসোর্টে দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের জুয়ার আসর গুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। এতে করে এলাকার যুবসমাজ অবৈধ অর্থের প্রলোভনে পড়ে এই জুয়া খেলায় জড়িয়ে যেত এবং অনেকেই সর্বসান্ত হতো।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। আসামীদের র্যাব কতৃক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উক্ত থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই র্যাবের পক্ষ থেকে অপরাধীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে জানানো হয় যে, দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র-মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র্যাব বদ্ধপরিকর।
এ ছাড়াও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান রেখেছেন।