আল মামুন মিলন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শোক, শ্রদ্ধা নিবেদন ও ভালবাসায় ফুলবাড়ী ট্রাজেটি দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন ব্যানার সম্মিলিত সংগঠন ও জনতার শোক র্যালি শ্লোগানে শ্লোগানে মিলিত হয় শহরের নিমতলায়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শহীদ ব্যাদিতে সারিবদ্ধ জনতা পূষ্পার্ঘ অর্পণ ও শহীদদের প্রতি শোক শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
এক মিনিট নিরাবতা পালন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- তেলগ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, জাতীয় গনফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য হবিবর রহমান, ফুলবাড়ী পৌর মেয়র মাহমুদুল আলম লিটন, কমিউনিষ্ট পার্টির ফুলবাড়ী শাখার সাধারন সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান, ওয়ার্কার্স পার্টি ফুলবাড়ী শাখার সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিকদার, তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটি ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সাইফুল ইসলাম জুয়েল, সদস্য সচীব জয় প্রকাশ নারায়ন প্রমূখ।
উল্লেখ্য- ২০০৬ইং সালের ২৬শে আগষ্ঠ এই দিনে দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উম্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন বাতিল ও বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ী থেকে প্রত্যাহারের দাবীতে ফুলবাড়ী, পার্বতীপুরসহ পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষ বিক্ষোভ শ্লোগানে খন্ড খন্ড প্রতিবাদ মিছিলে মিলিত হয় ফুলবাড়ীতে। আন্দোলনকারী জনতার মিছিলটি শহরের নিমতলা নামক
স্থানে পৈছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
বাধা অতিক্রম করে সামনের দিকে অগ্রসর হলে মিছিলটি ছত্রভংগ করতে পুলিশ টিয়ারসেল ছুড়ে জনতার উপর। বিক্ষুব্ধ জনতা এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী কার্যালয় গুড়িয়ে দেয়। আন্দোলনকারী জনতার সাথে চলতে থাকে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ জনতার উপর গুলি চালালে আল আমিন, তরিকুল ও সালেকিন নামে ৩ জন নিহত হন। আহত হন ২‘শ নারী পুরুষ। পঙ্গুত্ব বরন করেন অনেকেই। তৎকালিন বিএনপি জামাত জোট সরকার ফুলবাড়ী তথা আন্দোলনকারী জনতার সাথে ৬ দফা সমঝোতা চুক্তি করে পার্বতীপুরে। ১৩ বছরেও পূর্ন বাস্তবায়ন
হয়নি চুক্তির। ফুলবাড়ীবাসি সহ বিভিন্ন আন্দোলনকারী সংগঠন প্রতিবছর দিনটিকে স্বরন করে নিহতদের শ্রদ্ধায় নানা কর্মসুচী পালন করে
আসছে।