পটুয়াখালি জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বড় ভাই কর্তৃক ছোট ভাই খুনের চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন করেছে কলাপাড়া থানার পুলিশের একটি চৌকস টিম। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দের জেরেই ছোট ভাই সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপকে বড় ভাই সোহাগ হাওলাদার(৪২) নিজ হাতে খুন করেছেন। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর একথা জানিয়েছে সোহাগ।
রবিবার ১২ই জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে খুনি সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার ১৩ই জুন গ্রেফতারকৃত সোহাগকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এবিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান- সোহাগকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় সোহাগ জানায়, তাদের ৫ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে প্রদীপ ছিলেন সবচেয়ে ছোট। প্রদীপ বাড়িতে থাকতো এবং পৈত্রিক সম্পত্তি দেখাশোনা করতো। পৈত্রিক ভিটামাটি নিয়ে প্রদীপের সঙ্গে সোহাগের দীর্ঘ বিরোধ চলছিল।
৫ই জুন সন্ধ্যায় সোহাগ আমতলী বাজারে এসে ৮০ টাকা দিকে একটি চাকু কেনেন। সন্ধ্যায় চাকুটি পেপার দিয়ে মুড়িয়ে প্যান্টের পিছনে রেখে বাড়িতে আসেন সোহাগ। রাত ৯টার দিকে বাড়ির জমিজমা নিয়ে প্রদীপের সঙ্গে সোহাগের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ের তারা পুকুর পাড়ে চলে আসেন। এসময় সোহাগ সঙ্গে করে আনা চাকু দিয়ে প্রদীপের পেটের ডান পাশে এবং ডান হাতের কবজির উপরে আঘাত করে পুকুরে ফেলে দেন। পরে প্রদীপের মৃত্যু নিশ্চিত হলে সোহাগ সেখান থেকে পালিয়ে যান।
তিনি আরো জনান- পরে খবর পেয়ে প্রদীপের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৬ জুন নিহত প্রদীপের স্ত্রী সোগাহসহ অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ সোহাগকে গ্রেফতার অভিযান শুরু করে।
আবু জাফর প্রদীপ দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার কলাপাড়া প্রতিনিধি ছিলেন।
নিহত প্রদীপ উপজেলার টিয়াখালী ইউপির রজপাড়া গ্রামের মৃত খালেক পাহোলানের ছেলে। তার প্রমি আক্তার (১২) এবং আলবি (৩) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।