মাসুদ রানা- সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার-পাকা সড়কগুলো এখন বোরো ধান ও খড়ের দখলে। বোরো ধান মাড়াই ও ড় শুকানোর এবং খড়ের পালার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যস্ততম সড়কগুলো। যার কারনে প্রতিদিন ঘটছে অনাকাঙ্খিত সড়ক দূর্ঘটনা।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যো সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েটি ঝড়ে গেছে প্রান। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে।
পাশাপাশি সড়কে যানবাহন, স্কুল কলেজগামি শিক্ষার্থী ও পথচারিরা ভয় এবং কষ্টের মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করছে। সদর উপজেলার মুনসুর আলী সড়কের হরিণা পিপুল বাড়িয়া বাজার হতে কাজিপুর সোনামুখি পযন্ত সড়কে ধান ও খড় শুকানো এমনি কি খড়ের পালা দিয়ে রাস্তা দখল করে নিয়ে আছে।এভাবে দখল করার
কারনে গাড়ির চালকগণ ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
সে কারনে যানবাহন চালকের সাথে যাত্রী সাধারনের ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে প্রতিনিয়ত । গ্রামের কৃষকরা অপরিকল্পিতভাবে বসতবাড়ি নিমার্ণ করার কারণে বাড়িতে যায়গায় না রাখায় সড়ক দখল করে অন্যায়ভাবে ধান মাড়াই, ধান ও খড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলার জমি গুলোতে বোরো চাষাবাদ ভালো
হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরোদমে ধান কাটামাড়াই শুরু করেছে কৃষকরা। বিশেষ করে যমুনার চরাঞ্চলে ফলন সবচেয়ে ভাল হয়েছে।
রতন কান্দি ইউনিয়নের কৃষক রফিকু ইসলাম জানান, বাড়ির উঠান না থাকায় সড়ক ব্যবহার করে ধান মাড়াই, ধান ও পালাএবং (খড়) শুকানো হচ্ছে। এতে করে লোকজনের চলাফেরা একটু কষ্ট হচ্ছে। তা ছাড়া কোন উপায় নাই। অনেকের বাড়িতে যায়গা নাই । সে কারনে সড়কের মধ্যে ধান মাড়াই, ধান শুকানো, এবং খড়ের পালা দেয়া হয়েছে।
সি এন জি চালক কফিল উদ্দিন জানান- ধান ও খড়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালানো অত্যন্ত বিপদজনক। ব্রেক করলেই ঘটছে দূর্ঘটনা। তাছাড়া দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। মোড় ঘোড়ানোর সময় স্লিপ করে।
মোটর সাইকেল চালক, আব্দুল আলিম বলেন,খড়ের কারণে খুব ভয়ে ভয়ে বাইক চালাতে হচ্ছে রাস্তায় কোথায় খানাখন্দর আছে বোঝার উপায় নেই।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে- গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সদর উপজেলায় সড়ক দূর্ঘটনায় কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে এমন কি এক দিনে পৃথক দূরঘটনায় তিন জন অল্প বয়সের ছেলের মৃত্য হয়েছে। কমপক্ষে ১৫, ২০ জন আহত হয়েছে। দূর্ঘটনার মুল কারণ সড়কে ধান ও খড় শুকানোর জন্য ব্যবহার করা।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল জানান- সড়ক দখল করে ধান মাড়াই, ধান ও খড় শুকানো অন্যায়। তারপরও তা কৃষকরা করছে। কৃষি অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে আসছে। কিন্তু মানছে না অনেকে। স্বপ্নের ফসল ঘরের তোলার জন্য ব্যস্তসময় পার করছে কৃষকরা।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।