সেরাজুল ইসলাম- ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি পানির স্রোত বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, গৃহবন্দী থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের কারণে পানি ক্রমশঃ বেড়েই চলছে। বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। কাজ-কর্ম বন্ধ, আঘাত এসেছে মানুষের রুটি-রুজির ওপর। অচল হয়ে গেছে জীবনের চিরচেনা কোলাহল। নদী-নালা, খাল-বিল উপচে পানি এখন রাস্তা-ঘাট, খোলা মাঠ, গোচারণ ভূমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সবখানে। বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা। অস্তিত্বের সাথে লড়ছেন তারা। বড্ড বিপদে আছেন দুর্গত এলাকার লক্ষ লক্ষ অধিবাসী।
মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরও খাদ্য সংকট তীব্রভাবে দেখা দিয়েছে। কিন্তু অবস্থা যতটুকু খারাপ, যেভাবে আলোচিত হওয়ার কথা-তা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। নীতি-নির্ধারকরা কেমন যেন উদাসীন! এটা সম্ভবতঃ দুর্যোগের তীব্রতা সেভাবে আলোচনায় না আসার কারণেই। সেই বৈশাখ মাসের একেবারে প্রথম দিকে এক দফা পাহাড়ি ঢল ’পাকা ধানে মই দিয়ে গেল’। চোখের সে জল শুকাতে না শুকাতেই আবার আসলো পাহাড়ি ঢল, আরো বেশি শক্তি নিয়ে। বৃষ্টি যেন ঝেঁকে বসেছে অনন্তকালের জন্য। সাথে বজ্রপাত আর নিয়মিত ঘুর্ণিঝড়। ইতোমধ্যে পানিতে ডুবে, বজ্রপাতে অনেকগুলো প্রাণহানি ঘটেছে। খাদ্য আর খাবার সংকটে মানুষের কষ্টের কোন কমতি নেই। উৎপাত বাড়ছে সাপের। বীজতলা ডুবে গেছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
কিন্তু এ বিপুল সংখ্যক দুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ কিংবা উদ্ধার প্রক্রিয়া যেভাবে হওয়ার কথা- সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বরাদ্দকৃত সামান্য চাল ছাড়া সরকারী বড় কোন ক্রাণ তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। তাই সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাকে অবিলম্বে ’বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা’ জরুরী হয়ে পড়েছে।
“উপদেষ্টা
ও সম্পাদক
মন্ডলী”
প্রধান উপদেষ্টা- মোঃ মকবুল হোসেন।
আইন উপদেষ্টা- মোঃ জুয়েল ইসলাম।
প্রকাশক ও সম্পাদক- লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- বাপ্পি সরকার।
“বার্তা
সম্পাদকীয় অস্থায়ী
কার্যালয়”
নিরাপদ টেলিকম এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট,
কিশোরগঞ্জ রোড, তারাগঞ্জ বাজার- রংপুর মোবাইলঃ +8801735661194.
সংবাদ পাঠানোর ই-মেইলঃ 71sangbad24.com@gmail.com,
পত্রিকাটি বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত-(আই ডি নং-364) এবং বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।