নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিদ্যুৎ খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তারে ধারাবাহিকতায় সৈয়দপুরের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ভিতরে শতকোটি টাকা ব্যয় করে সরকারের নিজস্ব বিদ্যুতের খুঁটি নির্মাণ কারখানা স্থাপন করেছেন। এবং সেটি উৎপাদনের পর্যায়ে রয়েছে।

গোপনে স্থানীয় জনগণ জানায় যে উক্ত ফ্যাক্টরির ভিতর নির্বাহী প্রকৌশলী যোগসাজ করে অসৎ উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের কাছ থেকে নিম্নমানের মাল সরবরাহ নিচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে ট্রাক থেকে মাল আনলোড করার সময় লেবারেরা দেখতে পায় ট্রাকের বডির উপরে আড়াই ফিট সিডিউল মোতাবেক মালামাল রয়েছে।

ট্রাকের বডির নিচে আড়াই ফিট দেশীয় নিম্নমানের পাথর রয়েছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন মাল টেস্টের জন্য বুয়েটে পাঠানো হবে এখান থেকে রিপোর্ট আসলে আমরা বলতে পারি সঠিক না বেঠিক।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকেরা প্লান্টে উপস্থিত পূর্বের সরবরাহকৃত মালামালের শহীদ বর্তমান মালামালের কোন মিল নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী এ ব্যাপারে বলেন ওই মালগুলি পূর্বে ঠিকাদার ও বিদেশীরা ক্রয় করেছিল।

ঠিকাদারের ওয়ার্ক অর্ডারের কি পাথর বলা আছে এবং সেটির স্যাম্পল আপনার অফিসের সংরক্ষিত আছে কিনা এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সঠিক উত্তর দিতে ব্যর্থ হন নির্বাহী প্রকৌশলী। এবং পাথরের স্তূপে কালো এবং মরা পাথর সেম্পল স্বরূপ তাকে দেখালে। তিনি তার অফিসের স্যাম্পল দেখাতে পারেননি।

নির্বাহী প্রকৌশল এর কাছ থেকে বহু কষ্টের ঠিকাদারের নম্বর সংগ্রহ করে তাকে কল দিলে ঠিকাদারের প্রতিনিধি এসে বলেন যে ভাই মালের বর্তমান রেট বেশি তাইতো একটু আকটু ২ নম্বরি করতে হবে। ঠিকাদারের প্রতিনিধি সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

পাথর সম্পর্কীয় দর এবং মালের মান সম্পর্কে পঞ্চগড়ে পাথর পয়েন্টে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় ঠিকাদার ট্রাকের বডির উপরে যে মালটি নিয়ে এসেছে সেটি ১৩৫ টাকা সিএফটি এবং ট্রাকের বডির নিচে আড়াই ফিট যে মালটি নিয়ে এসেছে সেটি সেটি ২ নম্বর পাথর যার মূল্য ৮৫ টাকা সিএফটি।

এ দুই নম্বর পাথরটি এক নম্বর পাথরের সঙ্গে চালিয়ে দেওয়ার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে এখানে আনা হয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী আবু বক্কর শাহ ফকির শাজাহান, বাবু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান যে নির্বাহী প্রকৌশলী যদি দুই নম্বর পাথর দিয়ে পিসি পোল তৈরি নির্মাণ করে আমরা এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর গণপিটেশন দাখিল করব।