নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
২৬৬ বস্তা রাসায়নিক সার লালমনিরহাট জেলায় পাচারকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া গ্রামের তালতলা নামক স্থান দিয়ে ডিমলা উপজেলার নামে বরাদ্দকৃত বিসিআইসি/বিএডিসির এসব রাসায়নিক সার পাচার হচ্ছে, গোপনে এমন খবর দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে ওই এলাকার বেশ কিছু কৃষক।
এছাড়াও এলাকাবাসি জানান- ভুট্টার ভরা মৌসুম ও শীতকালীন শাক-সবজির পরিচর্যা এবং আগাম আলু চাষের জন্য রাসায়নিক সারের কৃত্রিম সংকট চলছে।ডিলারদের কাছ থেকে কৃষকরা চাহিদামত রাসায়নিক সার না পেয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চড়া মূল্যে সার ক্রয় করা হচ্ছে।
আর এদিকে ডিমলা উপজেলার কিছু অসাধু ডিলার অধিক মুনাফার লোভে স্থানীয় কৃষকদেরকে চাহিদামত সার না দিয়ে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় পাচার করছিলেন এই সার।
এ সময় কৃষকরা ওই রাসায়নিক সারভর্তি ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান গাড়ি আটক করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে খবর দেন।
এমন খবর পাওয়ায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ছুটে যান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গণ।পরে কৃষি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন।
জব্দকৃত সারের পরিমাণ ডিএপি ১২৬, এমপিও ৪৫ ও ইউরিয়া ৯৫ বস্তা। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে সার রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- সরকারি বরাদ্দের রাসায়নিক সার পাচারকালে স্থানীয় লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আমরা ১২টি ব্যাটারিচালিত ভ্যানগাড়ি আটক করেছি।
ওই ভ্যানগাড়ি থেকে সারের বস্তাগুলো নামিয়ে কৃষি অফিসে হিসাব করে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সেই সাথে তিনি আরও জানান- জব্দকৃত এসব সার প্রকৃত কৃষকের মাঝে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে সরকারের কোষাগারে সার বিক্রিকৃত অর্থ জমা করা হবে।