Friday, April 26, 2024
Homeদুুর্যোগ ও দুর্ভোগতিস্তা পারের চর ও গ্রামগুলো এখন পানির নিচে

তিস্তা পারের চর ও গ্রামগুলো এখন পানির নিচে

নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষন ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটেছে। এতে তিস্তা অববাহিকার চর ও গ্রামগুলো এখন পানির নিচে।

নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। পাশাপাশি কয়েক দিন ধরে রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে বন্যা কবলিত মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

এদিকে পানির চাপ কমাতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট ২৪ ঘন্টা খুলে রাখা হয়েছে বলে জানান- পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা।

তিনি বলেন- শনিবার সকাল ৯টায় তিস্তার পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার (৫২.৪৫) সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সুত্র মতে, বৃহস্পতিবার তিস্তার পানি বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হলেও বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও কোথাও কোথাও গলা সমান ও হাঁটু পানিতে ডুবে আছে ঘরবাড়িসহ উঠতি ফসল। এতে চরাঞ্চলে চাষ করা বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন- ইতোমধ্যে মসজিদপাড়া, টাবুরচর, পূর্বখড়িবাড়ি, বাঘের চর, জিঞ্জিরপাড়াসহ ছয়টি এলাকায় পানি প্রবেশ করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ। এই ইউনিয়নের স্বপন বাধের ৫০ ফুট বিধ্বস্ত হয়ে নদীর পানি প্রবেশ করে ২৮০ পরিবারের বসতঘর তলিয়ে দিয়েছে৷

এদিকে ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী জানান তার ইউনিয়নের কেল্লাপাড়া, ছাতুনামা, ভেন্ডবাড়ি এলাকার ৫শত পরিবারের বসতঘর তিস্তার পানিতে তলিয়ে আছে।

খালিশাচাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান সরকার জানান- খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর ছোটখাতা, বানপাড়া, সুপারীটারী গ্রামের প্রায় ৫শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন- তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরবাড়ির আঙ্গিনায় পানি বাড়তে থাকে। সে কারণে বাসা-বাড়ি ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে উঁচুস্থানে আশ্রয় নিতে হয়েছে। সেই সাথে গৃহপালিত গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে দিন কাটছে আমাদের। বর্তমান এলাকার শত-শত মানুষজন শুকনা খাবারের উপর নির্ভর৷ সরকারিভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি এখনো।

ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান- ১৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আপাতত তা বিতরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments