নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটূক্তি করায় নীলফামারী সদর লক্ষীচাপ ইউনিয়নের ককই বড়গাছা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার ১৮ই জুন সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের ককই বড়গাছা দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রায় এক হাজার মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- ১৫ই জুন বিকেলে ককই বড়গাছা বিদ্যালয় হল রুমে ১০ম শ্রেণীর শেষ দিনের কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা চলাকালিন শিক্ষার্থীরা জোরে কথা বললে- ওই বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক ঈশ্বর চন্দ্র রায় শিক্ষার্থীদের বলেন তোমাদের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন শয়তান।

তোমরাও তোমাদের নবীর মতো শয়তানী শুরু করলেন। নবীকে উদ্দেশ্যে করে এ কথা বলতেই ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোছাঃ সাবিকুননাহার ও সাকিল আহমেদ প্রতিবাদ শুরু করেন।

তারা বলেন স্যার আপনি আমাদের নবীকে কেনো শয়তান বললেন- নবীকে নিয়ে আপনার খারাপ মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। এসব বলতেই শিক্ষার্থীকে শিক্ষকের রুমে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখান। ঘটনাটি এলাকার মানুষের মাঝে জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।

মানববন্ধনে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন- ঘটনাটি মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাই আমরা শিক্ষকের উপযুক্ত বিচারের দাবী জানাচ্ছি সরকারের কাছে।

টুপামারী ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক খলিলুর রহমান বলেন- শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

আমরা শিক্ষকের গ্রেফতার সহ বিচার চাই। গ্রেফতার করা না হলে আরো কঠিন আন্দোলনে যাবো। আমাদের মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গণপতি রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- ঘটনা শোনার পর শিক্ষক ইশ্বর চন্দ্র রায় কে আমার অফিসে ডেকে নিয়ে আসলে তখন সে ভুল স্বীকার করেন। আমি তাকে অনেক রাগ দেখিয়েছি ও বুঝিয়েছি।

তবে শনিবার মানববন্ধন হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ওই শিক্ষককে।

লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন- ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। মানববন্ধনে আমিও ছিলাম, তবে ওই শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষকের সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষ করতে বলা হয় মানববন্ধনের নেতৃবৃন্দকে।

তবে এঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সেই সাথে তার শাস্তিরও দাবি জানায়।

সদর থানার ওসি আব্দুর রউপের সাথে কথা হলে তিনি বলেন- আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সকলকে শান্ত থাকতে বলছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।