Friday, April 26, 2024
Homeরাজশাহী বিভাগপাবনা জেলাপাবনায় নব-নিযুক্ত ডেপুটি স্পিকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

পাবনায় নব-নিযুক্ত ডেপুটি স্পিকারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

মোঃ নুরুন্নবী- পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ
জাতীয় সংসদের নবনিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

শনিবার ২৪শে সেপ্টেম্বর দুপুরে পাবনা শহরের বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু সঞ্চলনায় নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন।

দুপুর ২টার দিকে নবনিযুক্ত ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর বক্তব্য শুরুর ঠিক কয়েক মিনিট আগে অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুই পক্ষই একে অপরকে চেয়ার ছুড়ছিল। এসময় কয়েকজন নেতার হস্তক্ষেপে কিছুটা শান্ত হয়।

এর কয়েকমিনিট পর দুই গ্রুপের মধ্যেই আবারও শুরু হয় সংঘর্ষ। এসময় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেনসহ কয়েকজন নেতা তাদের থামানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও মাইকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে সতর্ক করা হয়। তাদের নিষেধ উপেক্ষা করেই দুই গ্রুপ আবার চেয়ার ছোড়াছোড়ি ও ধাওয়া পাল্পা ধাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

এক পর্যায়ে অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় কয়েকজনকে আটক করতে দেখা যায়।

এবিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন বলেন- বিষয়টা তেমন কিছুই নয়, ওই পেছনের দিকে দাঁড়ানো ও ঢল বাজানো নিয়ে ছেলে-পেলেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়েছিল, তাছাড়া অন্য কিছু নয়। পরে শান্ত হয়ে যায় এবং সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।

এবিষয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন- পেছনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি তারপরে একেঅপরকে চেয়ার তুলে মারা শুরু করে। তেমন কিছু নয়, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছিল, পরে সিনিয়ররা গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে- এই আরকি।’

এবিষয়ে পাবনার সদর থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন- ওই অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলের পেছনে দাঁড়ানো ও শ্লোগান নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে এক ঝামেলা হয়েছিল। পরে নেতারাই তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তেমন ঘটনা নয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments