মাহাবুব আলম- রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার শাকিব উদ্দীনের নামে ঘুষ নেওয়ার সাড়ে সাত মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিহয়েছে। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
এতে উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার শাকিব উদ্দীনের কাছে একজন সেবাগ্রহিতা ব্যক্তি সদ্য অনুমোদিত নামজারী(খারিজ) নিয়ে শাকিবকে বলেন- নামজারীতে একটি নাম ভুল হয়েছে। তা সংশোধন করতে হবে, এ সময় নাজির শাকিব বলে উঠেন এটি সংশোধন করতে সব মিলে এক হাজার টাকা লাগবে। এর থেকে কম হবে না কারণ কাগজটা সংশোধন করতে হলে এটি উপরে পাঠাতে হবে
সেখানে টাকা চাবে। এ জন্য টাকা লাগবে।
এসময় সেবাগ্রহিতা ব্যক্তি বলেন- শুনেন এত টাকা কেন লাগবে আপনাকে আমরা ৬‘শত টাকা দেবো। এ সময় নাজির শাকিব বলে উঠেন কত ৬‘শ, তাহলে ওদের কি দিবো আর আমি কি খাবো। সোজা কথা এক হাজার টাকা হলে আমি কাজটি করতে পারবো না হলে আমি
পারবো না। এসময় সেবাগ্রহিতা ব্যক্তি বলে উঠেন শুনেন আপনি এখন ৭‘শত টাকা নেন। কাজ শেষে বাকী টাকাটা দেবো। তখন শাকিব বলেন ও আচ্ছা এখন ৭‘শ দিলেন বাকী টাকা কাজ হলে দিবেন। ঠিক আছে তাহলে মোবাইল নাম্বারটা বলেন, আর ভুল নামটার ওখানে কি নাম হবে তা বলেন।
পরে সেবাগ্রহিতাকে নাজির শাকিব বলেন- শুনেন এখন যা হলো এগুলো বাইরে বলা যাবে না। না হলে তহশিল অফিস বলবে ও আমাকে বাদ দিয়ে ফাইল পাঠানো হলো। এগুলো ঝামেলা হয়ে যাবে তাই বলা যাবে না। উপজেলা ভুমি অফিস সুত্রে জানা যায়, যে কাজটির জন্য নাজির শাকিব টাকা নিয়েছিল সেটির আসলে তেমন কোন ফি নেই। এটি সহজ প্রক্রিয়ায় সমাধান করা
সম্ভব ছিলো।
এদিকে উপজেলা ভূমি অফিসসহ ইউনিয়ন ভুমি অফিসগুলোর বিরুদ্ধেও নামজারী করার নামে ঘুষ নেওয়া ও খাজনার চেক কাটতে গেলে নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে ধর্মগড় কাশিপুর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলামের ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার শাকিব উদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ইন্দ্রজিত সাহা বলেন- ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমিও দেখেছি। ঘটনাটির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।