সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
আল মামুন মিলন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং ষ্টাফদের মাইলেজ ভাতা সংক্রান্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও অর্থ মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবীতে আজ বুধবার ১৩ই এপ্রিল সকাল থেকে পার্বতীপুর চার লাইনের জংশন ষ্টেশনটিতে কর্ম বিরতি শুরু হয় ষ্টাফদের। নিথর হয়ে পড়ে হয়ে পড়ে ষ্টেশন এলাকা। আটকে যায় চর্তুদিক থেকে আসা আন্তঃনগরসহ সকল ট্রেন।
এসব ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রী সূর্য উঠার সাথে সাথে আকস্মিকভাবে এই যাত্রা বিরতির কবলে পড়ে। পুরো ষ্টেশনে টান টান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ড্রাইভাররা সব পাওয়ার কার ছেড়ে যে যার মতো সরে পড়ে। রেলওয়ে রানিং ষ্টাফ পার্বতীপুর শাখার ব্যানারে লোকোসেড কারখানার প্রধান গেটে কর্মবিরতিতে অংশ নেয় শতাধিক ষ্টাফ। এদিকে রোজাদার যাত্রীদের আহাজারীতে পুরো ষ্টেশন চত্বরটি একটি ভয়াবহ অবস্থার মুখে
দাড়ায়।
আটকা পড়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা দোঁলনচাপা এক্সপ্রেস, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র্র এক্সপ্রেসসহ অর্ধশত ট্রেন ও মালবাহী গাড়ি। লোকোসেড থেকে বের হয়নি একটি রেল ইঞ্জিনও। এছাড়াও এতদাঞ্চলের অন্যান্য ষ্টেশনগুলোতে অনেক ট্রেন আটকা পড়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রানিং ষ্টাফদের নেতা পার্বতীপুর লোকোমাষ্টার বি.এম শহিদুল ইসলাম রানার সাথে কথা হলে জানান- দীর্ঘ ১৬৫ বছর ধরে চলমান মাইলেজ ভাতা হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজকে কর্মবিরতি পালন করছি। দাবী পুরন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
ট্রেন যাত্রী সারোয়ার হোসেন অসহায়ভাবে জানান- এমন একটি পবিত্র মাসে কোথাও হঠাৎ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে আটকে পড়া কতটা কষ্টের সেটি কেবল যারা এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তারাই ভালো জানবেন।
পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন মাষ্টার শওকত আলী জানান- যাত্রা বিরতি প্রত্যাহারের কোন নমুনা খুঁজে পাচ্ছি না। যাত্রীদের আহাজারি ক্রমান্নয়ে বাড়ছেই। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে বলতে পারছি না।