বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর জেলা গংগাচড়া উপজেলার ৮নং আলমবিদিতর ইউনিয়নের মিথ্যা মামলাবাজ ভূমিদস্যু আব্দুল রহমান মিন্টু ও তার ছেলে মেহেদী হাসান সাফীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ৩০শে মে ২২ইং দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় সুমি কমিউনিটি সেন্টারে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন- আমরা দুইভাই সােহেল ও জুয়েল, পিতা-আব্দল জলিল সাথে আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের আব্দুর রহমান মিন্টু, পিতা-মরহুম জমসের আলী ও তার ছেলে মেহেদী হাসান সাফী থানা- গংগাচড়া, জেলা-রংপুর। আমাদের জমির পার্শ্বে তাদের জমি ও বিএডিসি সেচ পাম্প থাকায় তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রতি বছরে আমাদের আবাদি ক্ষেত সেচের পানি দ্বারা নষ্ট করে ফেলে।
গত ১৯/০৩/২০২২ইং তারিখে সকাল বেলা আমাদের জমিতে লাগানো তামাক ক্ষেত আমার বড় ভাই সােহেল মিয়া দেখতে গেলে। সেখানে দেখতে পায় আমাদের ২০ শতাংশ জমির তামাক ক্ষেত পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে তাদের বিষয়টি অবগত করলে। তারা তাৎক্ষণিক ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি, বল্লম, সুরকীসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।
এ অবস্থায় এলাকাবাসীর হস্তেক্ষেপে আমরা বিপদমুক্ত হয়ে চলে আসি। পরবর্তীতে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমরা সয়ড়াবাডী বাজারে গেলে সোহেল ও তার ছােট ভাই জুয়েলকে বেধড়ক মারপিট করে আব্দুর রহমান মিন্টু, তার ছেলে মেহেদী হাসানসহ তাদের লােকজন। মারামারির এক পর্যায়ে সােহেলকে, মেহেদী হাসান ধারালাে ছোরা দিয়ে মাথা বরাবর মারার উদ্দেশ্যে চোট মারলে সােহেল ডান হাত দ্বারা নিজেকে বাঁচাতে হাত উঁচু করলে উক্ত ছােরার চোট তার ডান হাতে লেগে যায় এবং গুরুতর আহত হয় এবং একই সংগে জুয়েলের মাথা বরাবর আব্দুর রহমানের ভাগিনা এরশাদুল চোট মারিলে ডান কানের নিচে চোট লেগে গুরুতর আহত হই। এ অবস্থায় উপস্থিত লােকজনের সহায়তায় সােহেল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। জুয়েলকে স্থানীয় বাজারে চিকিৎসা নেয়। পরবর্তীতে আমরা গংগাচড়া থানায় গিয়ে এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার করি, যা থানায় গ্রহণ করেননি, ফলে নিরুপায় হয়ে কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেই। পরবর্তীতে কোর্ট আবার থানাকে মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেয়। মামলা নং- সি আর ১১/৭৭।
তিনি আরও বলেন- আমার আরো দুইভাই লিপটন, লিখন ও আমাদের প্রতিবেশি চাচা আশরাফুল আলম রিপন এই ঘটনার সাথে কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকার ফলেও তাদেরকে আব্দুর রহমান মিন্টু গং ওই মামলায় আসামী করেন। বাদী মেহেদী হাসান সাফী মামলা নং- ২০/৬১
ঘটনাস্থলে গংগাচড়া সার্কেল এ আরিফজ্জামান আরিফ উপস্থিত হয়ে আশরাফুল আলম রিপন এ ঘটনার সাথে জাড়ত ছিল না মর্মে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়ার পরামর্শ দেন এস আই ফারুক আহম্মেদকে।
এই আব্দুর রহমান মিন্টু ও তার ছেলে মেহেদি হাসান সাফীর বিরুদ্ধে গংগাচড়া থানায় এবং কোর্টে তারা কখনো বাদী আবার কখনো আসামি এরকম প্রায় ৭২ থেকে ৭৫ টা মামলা আছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য গংগাচড়া থানা অফিসার্স ইনচার্জ দুলাল হোসেন জানান- মামলাটি আমাদের সিনিয়র স্যার এ সার্কেল দেখতেছেন। আপনি ওনার কাছে ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তবে আমার জানা মতে মামলাটির তদন্ত চলমান আছে।