শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় পাঁচ বছর আগে বন্যায় হেলেপড়া সেতুটি আজও সংস্কার না করার ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা যায়- উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের ১নং ডাউয়াবাড়ি চরভরট গ্রামের বাসিন্দাদের ইউনিয়ন অফিস, বাজার ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। আর চলাচল অনুপযোগী সেতুটি রয়েছে এই সড়কে। ২০১৭ইং সালের ১০ই আগষ্ট বন্যার পানির স্রোতে সেতুটির একদিকে হেলে পড়লে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরেও মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। সংস্কারের আশ্বাস মিললেও এখন পর্যন্ত সেতুটি সংস্কার হয়নি।
স্থানীয়রা জানান- আমাদের নেকবক্ত ও উপজেলা বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। আর এই সড়কের ওপর নির্মিত সেতুটি ত্রাণের টাকায় নির্মিত হয় ২০১৭ইং সালে। সে সময় বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়লে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এবং সড়ক ও সেতু চলাচল উপযোগী করতে এলাকাবাসী সাহায্য সহযোগিতায় বালু ফেলে ও বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই বালুও গতবারের বন্যায় নষ্ট হয়ে সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বর্তমান বাঁশের সেতুটিও ঝুঁকিপূর্ণ। তারা বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প পথে দুই কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করেন। এই এলাকায় প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল জানান- সেতুটি হেলে পড়ার দিনই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান ও প্রকৌশলী হারুন অর রশীদকে জানানো হয়েছিল। সেই সময় তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো সহ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক বলেন- গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ত্রাণের ১২ লাখ টাকায় এ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৭ইং সালের মে মাসে কাজ শেষ হয়। সেই সময় বন্যার পানিতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল।
অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)।
বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে ই-মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com