সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
রবিন চৌধুরী- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাগণ। কবর জেয়ারত শেষ করে শোকে আক্রান্ত পরিবারটিকে সান্তনা ও দেশের জাতীয় পতাকা বীর শহীদ আবু সাঈদের বাবার হাতে তুলে দেন নোবেল জয়ী প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস।
উল্লেখ্য যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে রংপুরে পীরগঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের দেশের মধ্যে এটাই প্রথম সফর। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রথম বৈঠকে বীর শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস ও দুই উপদেষ্টাসহ হেলিকপ্টারে পীরগঞ্জের মেরিন একাডেমিতে অবতরণ করেন। সেখান থেকে বেলা ১১টার দিকে তিনি উপজেলার জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে গিয়ে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় তার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও সমন্নয়ক সারজিস উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সড়ক পথে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহতদের দেখতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
সেখান থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বেগম রোকেয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যু সারাবিশ্ব দেখেছে। তার বুক পেতে দেওয়া পুলিশের গুলিতে মৃত্যু দেখে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সাহস পেয়ে আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নেমেছে। আর ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিজয় হয়েছে। তাই রংপুর হবে উন্নয়নের প্রথম ধাপ।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।
পরেরদিন ১৭ জুলাই তাকে পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের বাড়িতে চিরনিদ্রায় সাহিত হন আবু সাঈদ। পরবর্তীতে দেশের সেনাবাহিনী বীর খেতাব দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করেন।