সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা (উত্তর) ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভোটাভোটিতে কারচুপিসহ স্বজনপ্রীতি, হাইব্রীড প্রার্থীকে সভাপতি ঘোষণা ও অনিয়মের অভিযোগে বেশ কয়েকদিন যাবৎ ইউনিয়ন এলাকায় তুমুল সমালোচনা এবং বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পরও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা রহস্যজনক নীরব।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়- গত ১৬ই অক্টোবর উপজেলার গলিয়ারা(উওর) ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের এি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সম্মেলনে সাংগঠনিক কয়েকটি পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় পদ-পদবী বন্টনে ভোটাভোটির সিদ্ধান্ত গ্রহন করে উপজেলা আওয়ামীলীগের নের্তৃবৃন্দ, তাৎক্ষণিক ভোটাভোটির প্রাক্কালে কো-আপ্ট ভোটে কারচুপি, স্বজনপ্রীতি, প্রার্থীদের মধ্যে কে কত ভোট পেয়েছে তা জন-সম্মুখে প্রকাশ না করা, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে অন্য দল থেকে যোগদানকারী নব্য আওয়ামী লীগ (হাইব্রীড) কর্মীকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা।
এসব অনিয়ম নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবৎ গলিয়ারা তথা সারা উপজেলা এলাকায় তুমুল সমালোচনার ঝড় সহ একাধিক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নিউজ প্রকাশ করা পরও অদ্যবধি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতারা রহস্যজনক নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন এর নেতা কর্মীদের দাবী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতা কর্মীদের মাঝে মতবিরোধ, কোন্দল, সুরাহা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম সারোয়ারকে কল করে মুঠো ফোনে সংযোগ না পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন চৌধুরীর মুঠো ফোনে কল করে গলিয়ারা উওর আওয়ামী লীগ এর সম্মেলনের অনিয়মের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান- এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়নি তবে দুই তিন দিনের মধ্যে এটা নিয়ে আলোচনা বসবে বলে জানান।