বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:১৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
পার্বতীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবিব জেলায় শ্রেষ্ঠ গোপনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ, হরিজন সম্প্রদায় শুকরের বিষ্ঠা ফেলে প্রতিবাদ র‌্যাব-১১, সিপিসি-২’র অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে দু’টি ধান কাটা মেশিন বিতরণ নড়াইলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে দ্বি-গুণ টাকা কাটার অভিযোগ, দিশেহারা গ্রাহক সংবাদ প্রকাশের জের কিংবা পুলিশি তাণ্ডব নয়, মামলার আলামতে গাছ জব্দ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে লক্ষ্মীপুরে সয়াবিন উৎপাদন, বিক্রির টার্গেট ৫০০ কোটি পীরগঞ্জে মুখ খুলছে না সাধারণ ভোটার, তবে নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে কুমিল্লার দেবীদ্বারে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিশেষ সভা নড়াইলে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে পুলিশ সুপার’র নির্দেশ আটকের ১২ ঘণ্টা পর পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মুক্তি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার দাবীতে নীলফামারীতে ছাত্রলীগের সমাবেশ ধান ক্ষেত পরিদর্শণে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণার প্রতিনিধি দল নীলফামারীতে নীলফামারীতে শিল্প কারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণ ওসবুজ শিল্পায়ন বিষয়ক মতবিনিময় রংপুরের পীরগঞ্জে গৃহবধূকে মারপিট, থানায় অভিযোগ! লক্ষ্মীপুরে কালবৈশাখী ঝড় ধুনটে চৌকিবাড়ী ইউনিয়ন আ’লীগের বর্ধিত সভা ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের মুল হোতা’সহ গ্রেপ্তার ৪ নীলফামারীতে নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহারের দায়ে জরিমানা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হানাদার মুক্ত দিবস পালন

আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
আজ সোমবার ৪ঠা ডিসেম্বর দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের (৪ ডিসেম্বর) শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণপণ লড়াই করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ফুলবাড়ী উপজেলা থেকে হটিয়ে দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী উত্তাল আন্দোলনের সময় ফুলবাড়ীতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে যেন কোনও সংঘাত সৃষ্টি না হয় সেই লক্ষ্যে গঠিত হয় সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি। (২৪ মার্চ) পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলেও (২৬ মার্চ) দেশব্যাপী হত্যাযজ্ঞের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ওই দিন সকাল থেকে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে ফুলবাড়ী শহরে বের হয় এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল।

মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে রেলস্টেশন থেকে কাঁটাবাড়ী বিহারীপট্টি হয়ে বাজারে ফেরার পথে বিহারীপট্টিতে মিছিলকে লক্ষ্য করে কে বা কারা গুলি বর্ষণ করলে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। শুরু হয় বিহারীদের বাড়িতে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও লুটতারাজ। এ প্রিলের ২ তারিখ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ফুলবাড়ী আক্রমন শুরু করে পুরো ফুলবাড়ীকে নিয়ন্ত্রণ করে নেয়। এরপর থেকে শুরু হয় বাঙালিদের ওপর দখলদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার, হত্যা, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পরবর্তীতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুলবাড়ীকে হানাদারমুক্ত করার জন্য ১৯৭১ সালের (৪ ডিসেম্বর) মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী যৌথভাবে বেতদিঘী, কাজিহাল, এলুয়াড়ী, জলপাইতলী, পানিকাটা, রুদ্রানী, আমড়া ও রানীনগর এলাকার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে চর্তুমুখী আক্রমণ চালায়।

মিত্র বাহিনীর হাতে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ও ফুলবাড়ী শহরে তাদের প্রবেশ ঠেকাতে ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টায় ছোট যমুনার ওপর লোহার ব্রিজটির পূর্বাংশ শক্তিশালী ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ব্রিজ ধ্বংসের কারণে মিত্র বাহিনী ফুলবাড়ী শহরে প্রবেশ করতে দেরি হয়। আর এই সুযোগে অবাঙালিরা বিশেষ ট্রেনে করে ফুলবাড়ী থেকে সৈয়দপুর চলে যায়। ট্রেনটি ধ্বংসের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করলে তা ব্যর্থ হয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধাদের ওই সময় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ২০ নম্বর ব্রিজটি উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু নানা কারণে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফুলবাড়ী স্বাধীন হওয়ার তিন দিন পর ৭ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান যমুনা নদী পার হয়ে চকচকা রাইস মিলের ওপরে রাস্তায় এসে দাঁড়ালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে যানটি বিধ্বস্ত হয়।

সাঁজোয়া যানে থাকা ভারতীয় সেনা বাহিনীর এক অফিসারসহ তিন জন নিহত হন। নিহত তিন ভারতীয় সেনা সদস্যকে ছোট যমুনা নদীর তীরের সরকারি কলেজ সংলগ্ন স্থানে সমাধিস্ত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন জুনিয়র কমান্ডিং অফিসার ও সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনসুর আলী সরকার জানান, মূলত (৪ ডিসেম্বর) ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এরপর পরাজয় নিশ্চিত ভেবে হানাদাররা ফুলবাড়ী ত্যাগ করে। তাই ফুলবাড়ী ৪ ডিসেম্বরই মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)

বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।

আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে -মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com Desing & Developed By Hostitbd.Com