শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে আবারও আপন চাচাকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি নোটিশ প্রদান করেছে ভাতিজা। জেলা শহরের হাজী মহসিন সড়ক এলাকার বাসিন্দা চাচা একেএম আমিনুল হক কে আইনি নোটিশ পাঠান সদর উপজেলার ইটাখোলা দরবেশ পাড়ার বাসিন্দা ভাতিজা মোঃ ফরহাদ নওরোজ নাহিন। নীলফামারী জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ গোলাম মোস্তফা (সজীব) এর স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশটি নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ

“এতদ্বারা আমার উপরোক্ত মোয়াক্কেল কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া আপনি নোটিশ প্রাপক আপনাকে এই মর্মে জ্ঞাত করাইতেছি যে, গত ০৫/০৬/১৯৭২ ইং তারিখের ৪২৫০ নং দলিলের আপনি একজন দলিল দাতা উক্ত দলিলে আমার মোয়াক্কেল এর পিতা দাতা হিসাবে স্বাক্ষর না করিলেও তর্কিত ৪২৫০ নং দলিলে দলিল দাতা হিসাবে আমার মোয়াক্কেল এর পিতার নাম দেখিয়া আমার মোয়াক্কেল ৪২৫০ নং দলিলের জাবেদা নকল তুলিয়া বিস্মিত ও হতবাক হইয়া যান। কারন আমার মোয়াক্কেলের পিতা জীবিত অবস্থায় কখনোই ৪২৫০ নং দলিল সম্পাদন করেন নাই। পরবর্তীতে আমার মোয়াক্কেল বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত সদর নীলফামারীতে অন্য- ৪৪/১৭নং মোকদ্দমা আনায়ন করিলে আপনি নোটিশ প্রাপক আপনাকে ১৩নং বিবাদী হিসাবে মোকদ্দমায় শ্রেনীভুক্ত করা হয়।

অতপর আমার মোয়াক্কেল উক্ত মামলায় কনটেস্ট করিয়া দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আমার মোয়াক্কেল গত ১২/০২/২০২৩ ইং তারিখে আমার মোয়াক্কেলের রায় ও ডিক্রী প্রাপ্ত হন।

সেহেতু আপনি নোটিশ প্রাপক ৪২৫০ নং দলিলের একজন দলিল দাতা এবং যৌথ দলিল দাতা হিসাবে আমার মোয়াক্কেলের পিতার নাম থাকিলেও যাহা আমার মোয়াক্কেলের পিতার স্বাক্ষরীত নয় মর্মে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। সুতরাং ৪২৫০ নং দলিলের বিষয়ে আপনি নোটিশ প্রাপক সম্মক জ্ঞাত রহিয়াছেন।

সুতরাং উক্ত দলিলে আমার মোয়াক্কেলের পিতা দলিল দাতা হিসাবে স্বাক্ষর না করা শর্তেও উক্ত দলিলে আমার মোয়াক্কেল এর পিতাকে দলিল দাতা হিসাবে দেখানোর দায় আপনি নোটিশ প্রাপক কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না। আপনি নোটিশ প্রাপক আপনাকে অত্র নোটিশ দ্বারা জ্ঞাত করাইতেছে যে, অত্র নোটিশ প্রাপ্তীর ১৫ দিনের মধ্যে আমার মোয়াক্কেলের সহিত ৪২৫০ নং দলিল এর বিষয়ে সুষ্ঠ সমাধান করিয়া লইবেন। অন্যথায় মেয়াদ অন্তে আমার মোয়াক্কেল আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহন করিয়াছেন।

ইহা আপনার সদয় অবগতির জন্য প্রেরন করা হইল।
পরবর্তী যেকোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইহার এক কপি আমার সেরেস্তায় সংরক্ষিত রইল।”