বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ন
শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদর উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের বিশাল আকৃতির দেশী শাহিওয়াল জাতের দু‘টি গরু। মালিকের আশা এবার কোরবানির পশুর হাট কাঁপাবে তার জমজ গরু ‘লালু আর ভলু’। বিশালাকার এই গরু দুটির বয়স চলছে ২ বছর ৯ মাস। তবে গরুর মালিক এখনই লালু-ভলুকে ছাড়ছেন না। আশায় আছেন দাম ভালো পেলে তবেই তুলে দেবেন ক্রেতার হাতে।
নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ার মোড় এলাকার ওয়াহিদ পারভেজের খামারে গিয়ে দেখা মেলে এই লালু-ভলুর। বিশাল আকৃতির এই গরু দু‘টি দেখতে প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমাচ্ছে দুরদুরান্তের মানুষ। আর গরু বিভিন্ন স্থান থেকে গরু ব্যবসায়ীরা দেখতে আসছেন, করছেন হাঁকডাক।
মালিকের দাবি ‘লালু-ভলু’ নামের এই গরু দু‘টিই জেলার সব থেকে বড় গরু। হাফ ইটের দেয়াল আর টিনের ছাউনি দেয়া ঘরের দুই দিকে ছিল বিশাল গরু দু‘টি। শরীরে লাল রঙের প্রভাব বেশি তাই নাম ‘লালু-ভলু’। গরু দু‘টি জমজ। দেখতে একই রকম। অবশ্য গরু দু‘টির মাথায় রয়েছে সাদা রঙের ছাপ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘গরু দুটি দেখাশুনার জন্য একজন কর্মচারী রয়েছে। তবে মালিক ওয়াহিদ পারভেজ নিজেই সার্বক্ষনিক যত্ন নেন এই লালু-ভলুর। গরু দু‘টিকে প্রতিদিন খাওয়ানো হয় চাষকৃত নেপিয়ার ঘাস, খড়, ধানের কুড়ো, ভুষি ও দুপুরে এক বেলা খুদির ভাত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ‘ওয়াহিদ পারভেজের খামারে দেশি শাহীওয়াল জাতের গরু দু‘টির ওজন প্রায় ৩৭মন মন। এছাড়াও গরুর দৈর্ঘ ৯ ফুট প্রস্থ ৫ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ৩৭ মণ ওজনের লালু-ভলুর গরু দু‘টির দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। একটি গরুর মূল্য সাড়ে ৭ লাখ টাকা চান মালিক ওয়াহিদ পারভেজ।’
বগুড়া থেকে গরুগুলো দেখতে এসেছেন আনিছুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘জীবনে অনেক গরু দেখেছি, তবে চোখের সামনে এত বড় গরু এই প্রথম দেখলাম। গরু দু‘টি আট লাখ টাকা বলেছি দেখি গরুর মালিক আমাদের বলা দামে গরু দু‘টি বিক্রয় করে কি না।
জেলার জলঢাকা উপজেলার মিরগঞ্জ থেকে আসা গরু ক্রেতা রওশন বলেন,‘ গরু দু‘টি দেখতে অনেক স্বাস্থ্যবান। গরু দু‘টি থেকে নূন্যতম ৩৫ মন মাংস অনায়াসে পাওয়া যাবে। আমরা গরু দু‘টি নেওয়ার জন্য একটি দাম বলেছি দেখি মালিক কি বলে।
গরুর মালিক ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে গরু পালন করে আসছি। অনেক দিনের স্বপ্ন বড় গরু প্রস্তুত করব। এবার আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ‘লালু-ভলুকে’ ভালো দামে বিক্রির আশা করছি। অনেক গরু ব্যবসায়ী গরু দু‘টি দেখতে আসেন। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামও উঠেছে। কিন্তু দামে পছন্দ হয় না। খামারে বিক্রি করতে না পারলে হাটে তুলব। বর্তমান গরুটি দৈনিক প্রায় দেড় হাজার টাকার গো-খাদ্য খায়। গরুটির কথা শুনে অনেকে দেখতেও আসছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোনাক্কা আলী বলেন, ‘আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ঘিরে জেলার জন্য ১লাখ ২২ হাজার ৭১৬টি পশু প্রস্তুত আছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৭৮ হাজার ২৪২ টি পশু বাইরের জেলায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)।
বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে ই-মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com