বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
রংপুর তা’মীরুল মিল্লাত মডেল মাদ্রাসার উদ্বোধন করেন সাঈদী পুত্র ফুলবাড়ীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ফেন্সিডিল সহ আটক-২ লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক গণজমায়েত অনুষ্ঠিত নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ একজন গ্রেফতার রাণীশংকৈলে খ্রিস্টান ধর্মলম্বীদের বড়দিন পালন ধুনটে নিউ স্ট্যান্ডার্ড ফাইন্যান্স এন্ড কমার্স কো-অপারেটিভ ব্যাংক পিএলসি শাখা উদ্বোধন সৌদি দূতাবাসের আয়োজনে রংপুরে হিফযুল হাদীস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ব্যাটারী চালিত ভ্যানে মাদক পরিবহন কালে আটক ১ পিকআপে মাদক পরিবহনকালে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার র‌্যাবের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সংবাদিকের পিতার মৃত্যুতে ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের শোক ধুনটে জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপনে আলোচনা সভা রংপুর ক্যাডেট কলেজের আন্তঃহাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু সম্প্রীতির দেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রংপুরে ইসলামী আন্দেলনের গণ সমাবেশ কিশোরগঞ্জে বিলুপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যানকে স্বপদে বহালের দাবি ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনে প্রাক-বড়দিন উদযাপন নবম বারের মতো শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক হলেন প্রফেসর আজাদ ফুলবাড়ীতে মাদক কারবারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সোনালী সকাল ও সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের প্রীতি ম্যাচ সম্পন্ন

নড়াইলের মধুমতী নদীতে তীব্র ভাঙন শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে

উজ্জ্বল রায়- নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের মধুমতী নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের পার আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া ইউনিয়নের ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় ৩শ পরিবারের ঘরবাড়ি মধুমতী নদীর কবলে বিলীন হয়ে গেছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, রোববার (১ অক্টোবর) পার আমমডাঙ্গা ও ছাগলছিড়ার মধুমতি নদী এলাকা ঘুরে দেখা যায় ভাঙনের এই দৃশ্যপট।

এলাকাবাসী জানান, তারা দীর্ঘ ৩ থেকে ৪ বছর মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে আছেন। জয়পুর ইউনিয়নের পার আমডাঙ্গা ও লোহাগড়া ইউনিয়নের ছাগলছিড়া গ্রামের প্রায় ৬শ পরিবার নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে আছে। এই ভাঙন পায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এর আগে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার থেকে সাহায্য সহযোগিতা খুবই নগন্য দেওয়া হয়। এ বছর কোনো সরকারি সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হয়নি। এই এলাকার বাসিন্দারা এখন সর্বশান্ত। তাদের মাথা গোজার ঠাঁইও নেই।

পার আমডাঙ্গা গ্রামের আ. সবুর খান, নুর আলম মাস্টার, সোহাগ মাস্টারসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের গ্রামের শতবর্ষের মসজিদ-মাদরাসা, কবরস্থানসহ অসংখ্য ঘর-বাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি সর্বনাশা মধুমতি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে আমরা এখন পথে বসেছি। বর্তমান সংসদ সদস্য প্রায় দুই বছর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। দ্রুত নদী ভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৮২ জনকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নিয়ে আমরা কয়েকবার ভাঙন কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেছি।

নড়াইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, ২০২০/২১ অর্থ বছরে নদী ভাঙন রোধে ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। কিন্তু সেটিও এখন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার ভাঙনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে পুনরায় নদী ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।

এ ব্যাপারে নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসফাকুল হক চৌধুরী জানান, নদী ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com