৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন নিতাই কাঁচারীপাড়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মশিয়ার নামের এক তরুন যুবকে হাত পা বেঁধে মারপিট করার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে- গত রবিবার ২৭/১১/২২ইং বেলা আনুমানিক সকাল ৮ ঘটিকায় মশিয়ার বাড়ী ফেরার পথে নিতাই কাচারীপাড়া বাজার পার্শ্ববর্তী কেলটু আমিনের ছেলে ওবায়দুল ও ফারুক নেতৃত্ব অপরাধ চক্রের আরও অনেকে আক্রমণ করে সাথে থাকা দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়- ভুক্তভোগী মশিয়ার রহমান গত ২৭শে নভেম্বর-২২ইং সকাল বেলা সদর উপজেলার বাদিয়ার মোড় ফিলিং স্টেশন হতে ইট ভাটার কয়লা ক্রয়ের জন্য নগদ ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন।

পথিমধ্যে অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী আক্রমণে ভুক্তভোগী মোঃ মশিয়ার রহমানকে একা পেয়ে তার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

ভুক্তভোগী তাদের গালাগালির প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা বে-আইনী ভাবে দলবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি সোঠা, লোহার রড, ছোরাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মশিয়ারের উপর হামলা করে।

সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অভিযুক্ত মাসুদ মিয়ার নির্দেশে ভুক্তোভুগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারডাঙ্গ ও ফোলা জখম করে এবং মোঃ কুসুম আলী যুবকের পূর্বে পেটে অপারেশনকৃত স্থানে সজোরে লাথি মারলে তার পেটের সেলাই ফেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

পরবর্তীতে ভুক্তোভুগী কাতরহাল হয়ে মাটিতে পড়ে থাকলে ওবায়দুল ইসলাম হত্যার উদ্দেশ্যে যুবকের গলা চিপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে।

জানা গেছে- অল্পকিছুদিন আগে মশিয়ারের লিভার অপারেশন সম্পন্ন হয়। শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য থাকা মশিয়ারের হাত পা বেঁধে অমানবিক ভাবে মারপিট ও নির্যাতন করার ফলে অপারেশনের জায়গা ফেটে যায়। সে এখন মৃত্যু সঙ্গে পাঞ্জা লরছেন।

স্থানীয়দের মধ্যে কেউ একজন- ৯৯৯ এ কল করলে কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধারপূর্বক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। ভূক্তভোগী মশিয়ার এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক যুবককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করেন। এমন নিন্দনীয় ও মর্মান্তিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী ভুক্তোভুগী পরিবারের।

স্থানীয় ভাবে জানা গেছে- আনুমানিক দের মাস আগে বিবাহ্ ঘটকালিকরণ বিরোধের একটু জের ছিল। যাহা মশিয়ার পক্ষে সমঝোতার জন্য চেষ্টা করেও কোন ফল হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় গভীর ষঢ়যন্ত্রের শিকার হয় মশিয়ার।

থানা সূত্রে জানা গেছে- ৯৯৯ এ কল পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে এসআই জাহাঙ্গীর আলম’র নেতৃত্ব গাড়ীসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে মশিয়ারকে উদ্ধার করে এবং চিকিৎসা প্রদানের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

ঘটনার তদন্ত হয়েছে এবং সত্যতা পেয়েছে মর্মে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন- আরও কিছু বিষয় রয়েছে, সেগুলোর অনুসন্ধান চলছে।

মামলার বিষয়ে তিনি বলেন- লিখিত সাধারণ অভিযোগ করেছে। বাদি পক্ষ চাইলে যেকোন সময় মামলা রেকর্ড করতে পারেন।

এই সংবাদের আরও তথ্য পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।