বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
উজ্জ্বল রায়- নড়াইল জেলা প্রতিনিধি.
নড়াইলে দু’টি পৃথক অভিযানে পঁচিশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট চল্লিশ গ্রাম গাঁজা ও নগদ এক লক্ষ ষাটষট্টি হাজার সাতশত পঁচাআশি টাকাসহ তিনজন গ্রেফতার। মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত মোঃ আরাফাত আলী মুসল্লী(২৯) নামের একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মোঃ আরাফাত আলী মুসল্লী(২৯) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন কুন্দশী গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান মুসল্লীর ছেলে।
শুরুবার (১৪ নভেম্বর) নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের কুন্দশী শাকিনস্ত কুন্দশী মাছের আড়তের পশ্চিম পাশে নড়াইল টু ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে আসামি মোঃ আরাফাত আলী মুসল্লীর বাড়িতে যাওয়ার পায়ে চলার রাস্তার উপর হতে তাকে আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) মোঃ রাজু আহমেদ ও এএসআই (নিঃ) মোঃ ছদরুল আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে মোঃ আরাফাত আলী মুসল্লীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ধৃত আসামির নিকট থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য পঁচিশ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ সংক্রান্তে লোহাগড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
অপর একটি অভিযানে কুলসুম বেগম(৬০) ও মোসা. চায়না বেগম(৫২) নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল লোহাগড়া থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃত কুলসুম বেগম(৬০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানাধীন গোপিনাথপুর (ব্যাপাড়ীপাড়া) গ্রামের মৃত. বিল্লুর খানের স্ত্রী ও মোসা. চায়না বেগম(৫২) একই গ্রামের মৃত. আশরাফ খানের স্ত্রী। (গত ১৪ নভেম্বর) নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভাধীন গোপিনাথপুর ব্যাপাড়ীপাড়া কুন্দশী ব্রীজের নিচে চায়না বেগমের বসত বাড়ী থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে এসআই (নিঃ) এফ,এম হাসিবুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে আসামী কুলসুম বেগম(৬০) ও মোসাঃ চায়না বেগম(৫২) কে গ্রেফতার করে। এ ধৃত. আসামিদের হেফাজতে হতে ৪০ (চল্লিশ) গ্রাম গাঁজা ও নগদ এক লক্ষ ষাটষট্টি হাজার সাতশত পঁচাশি টাকা জব্দ করা হয়।
এ সংক্রান্তে লোহাগড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর’র নির্দেশনায় মাদকমুক্ত নড়াইল গড়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।