রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
শহীদ আবু সাঈদের বাবা-মা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী ধুনটে গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ পাবনায় আ’লীগের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বিএনপি’র বিক্ষোভ পীরগঞ্জে নার্সের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সেবা না দেয়ার অভিযোগ রাণীশংকৈলে যুব ঐক্যের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ কিশোরগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসতঘরে ট্রাক্টর আহত ২ লক্ষ্মীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় শত বছরের পুরাতন রাস্তা আউলিবেড়া দিয়ে বন্ধ রাণীশংকৈলে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদক কারবারিকে কারাদন্ড জামায়াতের আমীরের আগমন উপলক্ষ্যে বানেশ্বরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি তারাগঞ্জে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সাথে অংশীজনদের মতবিনিময় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে থানচিতে বিক্ষোভ ৩৩ বছরের অবসান- প্রেসক্লাব রংপুরের তত্বাবধায়ক কমিটি গঠন লক্ষ্মীপুরে পুলিশের উপর হামলা গ্রেফতার-১১ পাবনার চাটমোহর রেলবাজারে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রংপুরে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা পীরগঞ্জের আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমকে অব্যাহতি তারাগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদকসেবী আটক ফুলবাড়ীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে বিজ্ঞান মেলার সমাপনী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় তারাগঞ্জে শীতবস্ত্র বিতরণ কালের কণ্ঠের দেশ সেরা কর্মী শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান

ফলোআপ-১ঃ রংপুরে ঘুষের টাকায় ওমরাহ করতে গেলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আখের আলী

হারুন-অর-রশিদ- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলাধীন ১নং সারাই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আখের আলী অত্র মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে ১৬ লাখ টাকা ঘুষের ভাগ নিয়ে ওমরাহ পালন করতে গেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

১৯৫৭ইং সালে স্থাপিত ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আজহারুল ইসলাম বাবুলের অবসরজনিত কারণে, গত ২১শে মার্চ ২০২২ইং তারিখে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান মাওলানা আব্দুল আখের আলী। এর আগে তিনি দিনাজপুর জেলার ভবানীপুর কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অধ্যক্ষ আখের আলী ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় আসার পর গত ১৪ই আগস্ট ২০২২ইং মাদ্রাসার গভর্নিং বডি তৈরী করেন এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১৬ লাখ টাকার ঘুষকে জায়েজ করতে, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত মোখলেস সিআইডিকে মাদ্রাসার গভর্নিং বডিতে আনেন অধ্যক্ষ আখের আলী ও মাদ্রাসার সহ-সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা মাজেদ আলী বাবুল।

অধ্যক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী গত ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২২ইং রংপুরের স্থানীয় এবং একটি জাতীয় দৈনিকে মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর উক্ত পদে চাকুরী করার নিমিত্তে আবেদন করেন একাধিক চাকুরী প্রত্যাশী। যথানিয়মে চলতি বছরের ১৮ই ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষা হয়। তবে সেই পরীক্ষা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন শাকিব ব্যতীত সকল পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষার্থীরা এই পাতানো পরীক্ষা বাতিলের জন্য আবেদনও করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বরাবর। চাকুরী প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ পাওয়ার পরে এবং একাধিক জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে “রংপুরের ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় নিয়োগে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেন ঘুষ বাণিজ্যে জড়িতরা।

কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তরিঘড়ি করে নিয়োগপত্র হাতে ধরিয়ে দেন ফৌজদারী মামলার আসামি শাকিবের হাতে! তারপর থেকেই এলাকার সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হতে থাকে ঘুষ বাণিজ্যের নেপথ্যের কারিগরদের প্রতি।

সরেজমিন তদন্তে একাধিক পরীক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদে বিগত ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে অত্র মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি প্রধান দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বারিধারা নাজমুল উলূম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহাবুবার রহমান।

তাকে ম্যানেজ করেন ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আখের আলী ও অত্র মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ও রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল। তাদের নগ্ন পরিকল্পনা অনুয়ায়ী অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মাদ্রাসার সভাপতিসহ গভর্নিং বডির অন্যন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তাদেরকে কোন প্রশ্ন করার কোন সুযোগ প্রদান করা হয়নি।

এমনকি পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরীতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের কোন মূল্যায়ন করেনি ডিজি প্রতিনিধি অধ্যক্ষ মাহাবুবার রহমান। অত্র মাদ্রাসার সভাপতি বরাবর চাকুরী প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীদের দায়েরকৃত অভিযোগ ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ আখের আলী কম্পিউটার বিষয়ে অজ্ঞ হবার কারণে, অনলাইনের সমস্ত কাজকর্ম করেন অত্র মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক শাকিবের মামা শামীম।

সেই সুবাদের ডিজি প্রতিনিধির চিঠি ই-মেইলযোগে প্রথম দেখেন শিক্ষক শামীম। পরে অধ্যক্ষ আখের আলীর সহায়তায় তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ স্থাপন করেন কম্পিউটার শিক্ষক শামীম। যোগাযোগের সূত্র ধরেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় ১৬ লাখ টাকার মাধ্যমে মোখলেস সিআইডির ছেলে শাকিবকে দেয়া হবে চাকুরী।

পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে, গত ৩রা মার্চ ২০২৩ইং শুক্রবার সকালে অধ্যক্ষ আখের আলীর উদ্যোগে তারই কক্ষে জরুরী মিটিং এ বসেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি।

উক্ত মিটিংয়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাদশাহ, সহ-সভাপতি রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক, অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ পুলিশের (সিআইডি) ঢাকা মালিবাগ জোনে কর্মরত কনস্টেবল মোখলেস। বাংলাদেশ কর্মচারী সার্ভিস রুলস অনুযায়ী জটিলতা থাকলেও মোখলেস সিআইডি বিশেষ তদবিরের মাধ্যমে, শুধু নিজের ছেলেকে চাকুরী পাইয়ে দেবার নিমিত্তে নানাভাবে ফন্দিফিকির করে এবং রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক মাজেদ আলী বাবুলের বিশেষ সুপারিশে এই কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন।

ঘুষ গ্রহণ রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর শপথকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, নিজ স্বার্থ চরিতার্থের জন্যই এসব নাটক করছেন বলে দাবী, স্থানীয় সচেতন মহলের। “মিটিংয়ের মাধ্যমে ঘুষ” পুলিশের নীতিমালা অনুযায়ী যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে তবুও ছেলের চাকরি বলে কথা!

যেহেতু এলাকার সবাই জানে মোখলেস সিআইডির ছেলে শাকিবের চাকুরী কনফার্ম, সেহেতু ঘুষের মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে প্রাণবন্ত আড্ডায় পরিণত করেছিলেন মোখলেস সিআইডি-এমন মন্তব্য ধুমেরকুটি, জয় বাংলা, হারাগাছ পৌরসভা ও কাউনিয়া উপজেলার অসংখ্য মানুষের।

রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী, কাউনিয়া উপজেলাধীন ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে, মিটিং করে ঘুষ নেয়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত!

এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার অনেক আগেই আমাদের নেতা মাজেদ আলী বাবুল খুব ভালো করে জানতেন, ১৬ লাখ টাকার বিনিময়ে মোখলেস সিআইডির ছেলে শাকিবের চাকুরী বৈধকরণের পাতানো নিয়োগ পরীক্ষা, কাউনিয়া উপজেলা ও হারাগাছ পৌরসভা অনেকেই জানে। মাজেদ আলী বাবুল খুব ভালো করেই জানতেন স্থানীয়রা যে কোন মূল্যে এই অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য বৈধ সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে।

তবুও তিনি তার ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি এর চাইতে দুঃখজনক আর কি হতে পারে? সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে প্রতিমুহূর্তে মনে রাখা উচিৎ।

তারা আরও বলেন- জাতির জনকের কন্যা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথাপি আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর “বিভাগীয় শহর রংপুর” আওয়ামীলীগের সমালোচিত মুহূর্তে তাকে যেভাবে আলোকিত করেছেন। যেই নেত্রীর আস্থা বর্তমান দেশের কোটি মানুষের বিশ্বাস।

কিন্তু সেই বিশ্বাসের দাম কত সেটা হয়তো মাজেদ আলী বাবুল ভুলেই গেছেন! আমরা আশা করি নেত্রী যে সম্মান তাকে দেখিয়েছেন সেই সম্মানকে কাজে লাগিয়ে তিনি রংপুরকে আলোকিত করুক।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, গত ৩ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আখের আলীর কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরী মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাদশাহ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোখলেস সিআইডি, মাইদুল ইসলাম মুকুল, মোজাহার আলী মোজা। কম্পিউটার শিক্ষক মোমিনুল ইসলাম, শারীরিক শিক্ষক নুর মোহাম্মদ সুদারু। আরবী শিক্ষক রেজাউল করিম, অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামসহ উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদের মাঝে আলোচনায় এই মর্মে উপনীত হয় যে, মোখলেছুর রহমান ওরফে মোখলেস জুয়ারুর ছেলে শাকিবকে সর্বমোট ১৬ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

উক্ত বৈঠকে ঘুষের ১৬ লাখ টাকার মধ্যে অধ্যক্ষ আব্দুল আখের আলী, সভাপতি বাদশাহ সহ-সভাপতি মাজেদ আলী বাবুল, মাইদুল ইসলাম মুকুল, মোজাহার আলী মোজা, কম্পিউটার শিক্ষক টিআর সদস্য মোমিনুল ইসলাম, টিআর সদস্য শারীরিক শিক্ষক নুর মোহাম্মদ সুদারু, আরবী শিক্ষক রেজাউল করিম, অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় ছেলেদের নামেও একটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ বিভক্ত করে দেবার পরে অবশিষ্ট টাকা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করা হবে বলেও উক্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

স্থানীয়রা আরও বলেন- ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন অধ্যক্ষ এসেছে বলে আমরা আনন্দিত কিন্তু অত্র মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট!

নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগেই স্থানীয়ভাবে সবাই জানে এই পরীক্ষায় পাশ হয়েছে সিআইডি পুলিশ মোখলেসের ছেলে শাকিব। মোখলেস সিআইডি তার ছেলে পরীক্ষা দেবার দুইদিন না যেতেই এলাকার অনেককেই মিষ্টি খাওয়ার টাকা বিতরণ করেছেন।

এমনকি এলাকায় অনেককেই বলেছেন টাকা হামার বেশী চাকরি হামরাই নেমো! তাদের এহেন অতিরঞ্জিত বাড়াবাড়িতে অতিষ্ঠ হয়ে একাধিক পরীক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু দূর্নীতিবাজরা এতোটাই ক্ষমতাবান ও সম্পদশালী ওরা এসব টেরই পায়না। কমিটির লোকজন জনসম্মুখে বলে বেড়ান ওসব নিউজ টিউজ করে সাংবাদিকের কি ক্ষমতা আছে করুক।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক রেজাউল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা উন্নয়নের জন্য নিয়োগ ব্যাপারে ১৬ লাখ টাকা শাকিবের পারিবারের নিকট চেয়ে নিয়েছি, তবে এটা অন্যায় নয়।

মাদ্রাসার সভাপতি মাহাবুবার রহমান বাদশাহ পাতানো নিয়োগ পরীক্ষার দায় স্বীকার করে বলেন- আমি সভাপতি ঠিক আছে কিন্তু আমার মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আমি সভাপতি কিন্তু আমার বড়ভাই জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহঃ সভাপতি মাজেদ আলী বাবুল এবং অধ্যক্ষ আখের আলী মিলে এসব করেছেন।

১৬ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন- শাকিবের মা আমার ভাতিজি হয়, সে আমাকে মোবাইল ফোনে বলেছেন চাচা শাকিবের চাকুরীটা দিতে হবে। আমরা পনেরো লাখ টাকা রেডি রেখেছি। আমার ইচ্ছে থাকলেও আমি কিছুই করতে পারিনি। আমি জানি এটি অনিয়ম হয়েছে তবে সরকারি যে কোন সংস্থা তদন্তে আসলে আমি সত্যিটা বলবো।

নিয়োগ বানিজ্যের বিষয় জানতে মাদ্রাসার সহঃ সভাপতি ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মাজেদ আলী বাবুল’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

তবে ১নং সারাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন- ধুমেরকুটি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগে ঘুষের বিষয়টি আমি বিভিন্নভাবে শুনেছি, অনেকেই এটাকে রাজনৈতিকভাবে দায় চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করছেন। তবে কোন ব্যক্তির দায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নিবে না।

অনিয়ম হলে কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এতে কোন বাধা নাই। আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়ন করছেন, সেটি ছড়িয়ে যাক প্রত্যেকটা মানুষের দোর গোড়ায়। অনিয়ম দুর্নীতিমুক্ত হোক আমাদের ইউনিয়ন এটাই কামনা।

নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আব্দুল মান্নান বলেন- পুরো বিষয়টি জেনেছি অবশ্যই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com