সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
সেভ দ্য রোড-এর প্রতিবেদন-সচেতনতামূলক কর্মসূচির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের সক্রিয়তায় চালক-পথচারি ও যাত্রী সাধারণের মধ্যে সচেতনতা-সাবধানতার কারণে পথে মৃত্যু কমলেও বেড়েছে দূর্ঘটনা ও আহতর সংখ্যা।
চলতি ২০২৩ইং সালের ১লা মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪০৬ ছোট-বড় দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৯৪ জন, নিহত হয়েছেন ৪০২ জন।
সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানা যায়- বাইক লেন না থাকা, সেভ দ্য রোড-এর নিয়মিত প্রতিবেদন-সচেতনতা ক্যাম্পোইনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা কিছুটা কমলেও ৯৮৪টি মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০৬ জন, নিহত হয়েছেন ৮৮ জন; ৬৪৫টি ট্রাক দূর্ঘটনায় আহত ৭১৮ এবং নিহত হয়েছেন ৮৭ জন, নির্ধারিত গতিসীমা না মেনে, বিশ্রাম না নিয়ে টানা ১২ থেকে ২০ ঘন্টা বাহন চালনাসহ বিভিন্ন নিয়ম না মানায় ৮৮৯টি বাস দূর্ঘটনায় আহত ৯৩৭ এবং নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন, দায়িত্বে অবহেলা, স্থানিয় পুলিশ-প্রশাসনের দুর্নীতিসহ বিভিন্নভাবে সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ বাহন নাসিমন-করিমন এবং অন্যান্য ৩ চাকার বিভিন্ন ধরণের বাহনে ৮৮৮টি দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯৩৩ এবং নিহত হয়েছেন ৯০ জন।
সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস্ চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা ও লায়ন ইমাম হোসেন-এর তত্বাবধায়নে দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক দেশ রূপান্তর, দৈনিক দিনকাল, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক কালবেলাসহ ১৭ টি জাতীয় দৈনিক, আরটিভি, জিটিভি, যমুনা নিউজ, মাসরাঙ্গা, এটিএন বাংলাসহ ২০ টিভি-চ্যানেল, জাগো নিউজ, বাংলা নিউজ, বিডিনিউজসহ ২২ টি নিউজ পোর্টাল এবং স্থানিয় প্রত্যক্ষদর্শী-সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীগণের দেয়া তথ্যানুসারে এই প্রতিবেদন দূর্ঘটনামুক্ত পথ-এর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
আকাশ-সড়ক- রেল ও নৌপথ দূর্ঘটনামুক্ত করার জন্য নিবেদিত দেশের একমাত্র সচেতনতা-গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়- ১লা থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত নৌপথ দূর্ঘটনা ঘটেছে ৬৭টি। আহত ৯৭ জন, নিহত হয়েছেন ১৭ জন। রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৯টি। আহত ৭২ নিহত হয়েছে ১৮ জন। আকাশপথে কোন দূর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ যাত্রীদের ১টি বড় অংশ শারীরিক ও মানষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
সড়কপথ, নৌপথ ও রেলপথের দূর্ঘটনামুক্ত পথ চলাচলের অধিকার রক্ষায় মালিক-শ্রমিক-প্রশাসনিক এবং সাধারণ জনগনের সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই বলে সেভ দ্য রোড মনে করে। আর তাই বারবার ৭ দফায় ফিরে যাই। পাশাপাশি সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে গত ১৪ বছর যাবৎ ৪ পথ দূর্ঘটনামুক্ত করতে সেভ দ্য রোড-এর ৭ দফা দাবী নিয়ে এগিয়ে চলা অব্যহত রয়েছে ছাত্র-যুব-জনতা-আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার ঐক্যবদ্ধতায়। আর সেই ৭ দফা হলো- ১. মিরেরসরাই ট্রাজেডিতে নিহতদের স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘দূর্ঘটনামুক্ত পথ দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। ২. ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা দিতে হবে। ৩. সড়ক পথে ধর্ষণ-হয়রানি রোধে ফিটনেস বিহীন বাহন নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতিত চালক-সহযোগি নিয়োগ ও হেলপারদ্বারা পরিবহন চালানো বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ৪. স্থল-নৌ-রেল ও আকাশ পথ দূর্ঘটনায় নিহতদের কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ সরকারীভাবে দিতে হবে। ৫. ‘ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সত্যিকারের সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬. পথ দূর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা ত্বরান্বিত করণের মধ্য দিয়ে সতর্কতা তৈরি করতে হবে এবং ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠনের পূর্ব পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ সহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা-সহমর্মিতা-সচেতনতার পাশাপাশি সকল পথের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সকল পরিবহন চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে। ৭. ইউলুপ বৃদ্ধি, পথ-সেতু সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ে দূর্নীতি প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে ভাঙা পথ, ভাঙা সেতু আর ভাঙা কালভার্টের কারণে আর কোন প্রাণ দিতে না হয়।
উল্লেখ্য, ‘সেভ দ্য রোড-এর অঙ্গীকার পথ দূর্ঘটনা থাকবে না আর…’ বাক্যটিকে লালন রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ২০০৭ইং সালে পথচলা শুরু করে আকাশ-সড়ক- রেল ও নৌপথ দূর্ঘটনামুক্ত করার জন্য নিবেদিত দেশের একমাত্র সচেতনতা-গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোড।